ইমরানকে কুর্শি থেকে নামাতে একি পাঠাল আমেরিকা!
কলকাতা টাইমস :
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটানোর জন্য কোনো হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন। ওয়াশিংটন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনো কথিত চিঠি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সঙ্গে আমেরিকা জড়িত থাকার সত্যতা নেই।
এর আগে গত রবিবার ইসলামাবাদে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ইমরান খান একটি চিঠির কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর সরকারের পতন ঘটানোর জন্য অন্য দেশ ষড়যন্ত্র করেছে।
ইমরান খান আরো অভিযোগ করেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য বিদেশ থেকে অর্থও দেওয়া হচ্ছে।
যদিও ইমরান খান প্রাথমিকভাবে হুমকিমূলক চিঠি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো বিবরণ দেননি। তবে সমালোচকদের অনেকেই তাঁর দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার কারণে তিনি পরে কিছুটা খোলাসা করেন।
ক্ষমতাসীন পাকিস্তান সরকার প্রথমে সে দেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে চিঠিটির ব্যাপারে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের এ ব্যাপারে অবহিত করেন।
গতকাল বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল ইমরান খানের। তিনি জানিয়েছিলেন, সাংবাদিক ও জোটের সঙ্গীদের নেতাদের ওই চিঠি দেখাবেন। তবে পরে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেননি।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধান নাদিম আনজুমের সঙ্গে দেখা করার পরই তিনি সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন।
গোপন নথি প্রকাশে দেশটিতে আইনি বাধার কারণে শেষ পর্যন্ত একদল সাংবাদিককে শুধু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রিসভার বৈঠকের কার্যবিবরণী দেওয়া হয়।
ওই বৈঠকে কোনো বিদেশি সরকারের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে যে, পাকিস্তানি একজন রাষ্ট্রদূতকে একটি দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পররাষ্ট্র নীতি, বিশেষ করে তাঁর রাশিয়া সফর এবং চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে তাঁর (রাজনৈতিক) অবস্থান নিয়ে সে দেশের সমস্যা রয়েছে।