আর এক বছরেই ৪.৩ কোটি মানুষের দারিদ্র্য দূর করবে এই দেশ
কলকাতা টাইমস :
চীনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে দেশটির শহর-বন্দরে ঝাঁ চকচকে বহু ভবন ও রাস্তাঘাট দেখা যায়। অর্থনৈতিক সূচকেও হয়েছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কিন্তু দেশটিতে এখনও অসংখ্য মানুষ রয়ে গেছে দারিদ্র্যসীমার একেবারে নিচে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীনের অর্থনৈতিক উন্নতির ছোঁয়া বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলেই পড়েনি। ফলে অস্বাস্থ্যকর স্থানে বসবাস করে কিংবা উন্নয়নের সুফলবঞ্চিত রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যাও প্রচুর।
চীনের প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অতিদরিদ্র এসব মানুষকে আগামী তিন বছরের মধ্যে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্ত করবেন।
চীনের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা কম নয়- প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ। আর এ বিপুলসংখ্যক মানুষকে কিভাবে দারিদ্র্যমুক্ত করা হবে, তা নিয়ে ব্যস্ত আছেন চীনের নীতিনির্ধারকরা।
ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে অস্বাস্থ্যকর গ্রাম থেকে বের করে নতুন ঘরবাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া আরো জোরদার করা হচ্ছে।
গত পাঁচ বছরে ৫০ লাখ মানুষকে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সরিয়ে নতুন বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এ প্রকল্প মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দুর্নীতির অভিযোগের কারণে। এছাড়া স্থানীয় লোকদের সঙ্গে যোগাযোগেরও ঘাটতি রয়েছে। তবে সর্বত্র দারিদ্র্যবিরোধী প্রচার-প্রচারণা চলছে।
২০১৮ সাল চীনের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ ও সংস্কারের ৪০তম বার্ষিকী।বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ ও সংস্কার চীনের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রয়োজনীয় পথ ও চীনা স্বপ্ন বাস্তবায়নের একমাত্র পথ। চীনের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ চীনের চলমান গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র লোকদের পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্ত বাস্তবায়ন আমাদের পবিত্র প্রতিশ্রুতি। এ প্রতিশ্রুতি যেন শ্রেষ্ঠ সোনার মতো। এখন থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাত্র ৩ বছর সময় বাকী। গোটা সমাজকে কার্যক্রম চালিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে দারিদ্র্য বিমোচন করতে হবে, যাতে অব্যাহতভাবে নতুন সাফল্য অর্জন করা যায়।
তিন বছর পর পরিকল্পনা মতো দারিদ্র্য বিমোচন যুদ্ধে জয়ী হলে হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে চীন থেকে প্রথমবারের মতো দরিদ্র্য নির্মূল করা সম্ভব হবে, যা সত্যিই এক নজিরবিহীন ঘটনা হবে।