আর মাত্র ৬ বছর, জলই শেষ করে দেবে পাকিস্তানকে
কলকাতা টাইমস :
২০২৫ সালের মধ্যে জলশূন্য হয়ে যাবে পাকিস্তান এমনটাই বলছে বিশেষজ্ঞরা। কারণ সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে সিন্ধু পানিবন্টন চুক্তিকে হাতিয়ার করে পাকিস্তানের উপর চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে ভারত।
ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপে মদদ দেওয়া বন্ধ না করলে পাকিস্তানকে ভাতে মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তের ওপারে জলসংকট নিয়ে নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। পাকিস্তান কাউন্সিল অফ রিসার্চ ইন ওয়াটার রিসোর্সের পূর্বাভাস, ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানে জলসংকট চরম আকার ধারণ করবে। খরার কবলে পড়তে পারে গোটা দেশ।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জল ব্যবহারকারী দেশ পাকিস্তান। কিন্তু দেশটিতে গত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমছে। সেদেশে জলের একমাত্র উৎস বলতে ভারতের সিন্ধু অববাহিকা। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শহর করাচি এখন কার্যত জলশূন্য। প্রতিদিন জলের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয় শহরবাসীকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও নগরায়নের কারণে পাকিস্তানে জলের উৎসগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, আবহাওয়ার বদল ও সরকারের ভ্রান্ত নীতিও পাকিস্তানের জলসংকটের একটি বড় কারণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বস্তুত, পাকিস্তানের ওয়াটার অ্যান্ড পাওয়ার ডেভলপমেন্ট অথরিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সামসুল মুলকও বলেছেন, দেশে পানিবন্টন কীভাবে করা হবে, তা নিয়ে কার্যত সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। এ বিষয়ে পাকিস্তানের নীতি নির্ধারকদের আচরণ অনেকটা ‘অনুপস্থিত জমিদার’-এর মতো।
তিনি বলেন, সরকারি নীতি নির্ধারকদের ‘অনুপস্থিত জমিদার’ সুলভ আচরণের কারণে জল কার্যত ধনীদের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। গরিবরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্যদিকে দেশে পানিসংকটের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবকেই দায়ি করেছেন পাকিস্তানের শক্তি বিশেষজ্ঞ ইরফান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ দেশে জল ধরে রাখার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। ১৯৬০ সালের পর কোনও নতুন বাঁধ তৈরি হয়নি। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ’ এমনকি, পাকিস্তানে জলসংকট মেটাতে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তাও। তবে তাঁর সাফাই, গবেষণা চালানোর মতো অর্থ সরকারের হাতে নেই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পরীক্ষার জন্য করাচি থেকে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, ৯০ শতাংশ জলই মানুষের পান করার উপযুক্ত নয়।