কলকাতা টাইমস :
অন্তত, এক বড় পদক্ষেপ করেছেন শরদ পওয়ার। সম্প্রতি, তাঁর দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি-র জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে অনীশ গাওয়ান্দকে। আর এই ঘটনা নিয়েই আশার আলো দেখছে, এলজিবিটিকিউ প্লাস সম্প্রদায়-সহ পুরো তরুণ সমাজ। এই প্রথম কোনও সমকামী যুবককে মুখপাত্র পদে নিয়োগ করল এক মূল ধারার রাজনৈতিক দল।
‘গে’ বা সমকামী পরিচয় নিয়ে অনীশের কোনও রাখ-ঢাক নেই। এই পরিচয় নিয়েই মাথা উঁচু করে চলাফেরা করেন তিনি। আর সেটাই স্বাভাবিক। তবে, এখনও ভারতীয় সমাজে অনেকের কাছেই সমকামিতা বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। তাই তাঁর সাহসের প্রশংসা করতেই হবে। অনীশ গাওয়ান্দে জানিয়েছেন, তিনি এখন যে জায়গায় এসেছেন, তার জন্য তাঁকে গত ১০ বছর ধরে পরিশ্রম করতে হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে যখন তিনি স্কুলে পড়তেন, তখন থেকেই তাঁর রাজনীতিতে আগ্রহ ছিল। সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চেয়েছিলেন। তাঁর পরিবারবর্গ তাঁকে সমকামী হিসেবেই গ্রহণ করেছিল। কিন্তু, তখন তিনি তাঁর সমকামী পরিচয় দিয়ে রাজনীতিতে আসতে পারেননি। কারণ সেই সময় পরিস্থিতি তেমন ছিল না।
অনীশ বলেছেন, “২০১৯ সালে, আমি মিলিন্দ দেবরের সঙ্গে কাজ করেছি। তাঁর আদর্শের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এরপর আমি শরদ পাওয়ার এবং সুপ্রিয়া সুলের কাছে একটা সুযোগ চেয়েছিলাম। তাঁরা আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন।” তাঁর এই নিয়োগ, এলজিবিটিকিউ প্লাস সম্প্রদায়ের অনেককেই স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রেরণা দেবে বলে মনে করছেন অনীশ। তিনি বলেছেন, “আমি সমকামী। সবার সামনে আমি এই পরিচয় খোলাখুলি মেনে নিই। আমার অ্যাপয়েন্টমেন্টের পর, আমি ২০০ থেকে ৩০০টি ফোন কল পেয়েছি। প্রত্যেকেই আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছে আপনাকে দেখে আমাদের আশা জাগছে। আমাকে দলের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে বেছে নেওয়ার পথে বাধা হয়নি আমার সমকামী পরিচয়। দল আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে বলে আমি কৃতজ্ঞ। আমি সমাজের জন্য এবং বিশেষ করে এলজিবিটিকিউ প্লাস সম্প্রদায়ের জন্য যতটা সম্ভব করতে চাই।”