সেনার দেহে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধক জানাল জৈব অস্ত্রের ভয়াবহতা
কলকাতা টাইমস :
শুধু পরমাণু অস্ত্র নয়, উত্তর কোরিয়ার জীবাণু ও রাসায়নি গ্যাস অস্ত্র হামলারও সক্ষমতা আছে বলে দীর্ঘদিন ধরে শঙ্কা প্রকাশ করছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ কয়েকটি দেশ। সম্প্রতি জীবাণুযুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রস্তুতির নতুন তথ্য পাওয়া গেল একজন পক্ষত্যাগী উত্তর কোরিয়ার সেনা সদস্যের পরীক্ষায়।
কয়েকদিন আগে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে একজন সেনা। তার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রতিরোধক অ্যান্টিবডি পেয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার এ দাবি যদি সত্য হয় তাহলে বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ অ্যানথ্রাক্স জীবাণুবাহী বোমা তৈরি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে। বিপক্ষের সেনাদের দেহে অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে দেওয়ার হতে পারে উত্তর কোরিয়ার একটি অস্ত্র। কিন্তু তাতে উত্তর কোরিয়ার নিজস্ব সেনাবাহিনীরও ক্ষতি হতে পারে। এ অবস্থায় তাদের নিজেদের যেন ক্ষতি না হয় সে জন্য আগেই প্রতিরোধমূলক টিকা দেওয়া হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সেই সেনা সদস্যের দেহে।
এর আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছিলেন, বিষাক্ত রাসায়নিক সারিন গ্যাস ভরা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর ক্ষমতা উত্তর কোরিয়া এরই মধ্যে অর্জন করেছে।
রাসায়নিক অস্ত্র সনদে সই না করা ছয় দেশের মধ্যে আছে উত্তর কোরিয়া। তাদের রাসায়নিক অস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে বলেও ধারণা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ২০১৬ সালের ডিফেনস হোয়াইট পেপার অনুযায়ী, ১৯৮০ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র উন্নয়ন করে আসছে। তারা বলছে, বর্তমানে পিয়ংইয়ংয়ের কাছে ২৫০০ থেকে ৫০০০ টন রাসায়নিক অস্ত্র আছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যানথ্রাক্স, স্মলপক্স এবং প্লেগ অস্ত্র।
২০১২ সালের একটি রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগও জানিয়েছিল, বহুদিন ধরে রাসায়নিক কর্মসূচি চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। তাদের ভাণ্ডারে প্রাণঘাতী নার্ভ গ্যাসও রয়েছে।