কান্না আসছে নাকি? অর্ডার করুন, সান্তনা দিতে আসবে সুদর্শন পুরুষ
জাপানে এখন এমন রীতি চালু হয়েছে। আর এর জন্য খরচও করা হচ্ছে কিছুটা। সব মিলিয়ে একবার কান্নার খরচ প্রায় দু’-তিন হাজারের মতো। এ নিয়ে রীতিমতো ব্যবসা শুরু করেছেন জাপানি এক উদ্যোক্তা।
জাপানি উদ্যোক্তা হিরোকি তেরাই এই নতুন ব্যবসা খুলে বসেছেন। মেয়েরা কাঁদলে সুন্দর চেহারার পুরুষ পৌঁছে যাবে তাঁদের কাছে। সান্ত্বনা দেওয়া, যত্ন করে চোখের জল মোছানো বা গান শুনিয়ে মন ভালো করাই তাদের কাজ। আর এই যুবকদের নাম দিয়েছেন তিনি, ‘হ্যান্ডসাম উইপিং বয়’। জাপানি পরিভাষায় এই পদ্ধতির নাম ‘রুই-কাৎসু’। কাঁদতে চাইলে অনলাইনে বুক করতে হবে নিজের নাম ও কাঁদার সময়। ব্যস! এতেই যথেষ্ট। এবার সেই ঠিকানায় পৌঁছে যাবেন সুদর্শন যুবক।
কিন্তু এমন ভাবনা কেন ভাবলেন তেরাই?
হিরোকি তেরাই-এর মতে, এই ভাবনার কথা প্রথম মাথায় আসে জাপানি দম্পতিদের ডিভোর্সের সময়ের কথা ভেবে। তখন সংসার ভেঙে যাওয়ার কষ্ট তাঁদের উভয়কেই পীড়া দেয়। কিন্তু সে দুঃখ ভুলে থাকার কায়দা দু’জনের দু’রকম। স্বভাবজাত কারণে সাধারণত পুরুষরা সারা দিন নানা প্রমোদ, বিলাসিতা ও ঘুমিয়ে বা পরের সপ্তাহে কাজের পরিকল্পনা করে কাটিয়ে দেন। সে ক্ষেত্রে মেয়েরাই কান্নাকাটি করেন বেশি।
তা দেখেই এই ব্যবসার কথা মাথায় আসে তেরাইয়ের। তিনি ভেবে দেখেন, তাঁদের সামলাতে যদি সামনে কোনও বিপরীত লিঙ্গের মানুষ থাকেন, তা হলে তাঁরা অনেকটা ভরসা পাবেন, কান্নায় সমব্যথী হওয়ার জন্য মনের মতো মানুষ পাবেন।এতে এক জন দুঃখী মানুষ সঙ্গীও পাবেন, আবার মেয়েদের মনের চাপও কমবে।
শুধু তা-ই নয়, তাঁর এই ভাবনাকে মূলধন করে ছবিও বানিয়ে ফেলেছেন দ্যারিয়েল থমস। তাঁর স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘ক্রাইং উইথ দ্য হ্যান্ডসাম ম্যান’-এ তিনি এই তত্ত্বের ব্যাখ্যা ও বিশ্বাসকে তুলে ধরেছেন।
যদিও জাপান জুড়ে বিপুল জনপ্রিয় হওয়া এই অভ্যাসকে তাঁদের ‘সেরিমনিয়াল অ্যাটিটিউড’ বা ‘উদ্যাপনের অভ্যাস’ হিসাবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।