রাশিয়ার সরকারি বিমানে কোকেন পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলো আর্জেন্টিনা
নিউজ ডেস্কঃ
আর্জেন্টিনার গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমানে কোকেন পাচার করার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ান বিমানের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের কোকেন পাচার করা হয়েছে। যার ওজন ছিল প্রায় ৩৮৯ কেজি। এ কোকেন আর্জেন্টিনা থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে পাচার করা হয়। সংস্থাটির অভিযোগ, এতে আর্জেন্টিনায় অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের কর্মকর্তারা জড়িত ছিল। এমনকি কোকেন পাচারের কাজে রাশিয়ার একটি সরকারি বিমানও ব্যবহৃত হয়।
বিপুলসংখ্যক কোকেনের বিষয়টি গোয়েন্দা বাহিনীর নজরে আসে আর্জেন্টিনাতেই। সে সময় রাশিয়ান দূতাবাস সংলগ্ন একটি স্কুলে কোকেনগুলোর অবস্থান প্রথম নজরে পড়ে কয়েকজন গোয়েন্দার। এরপর সেই কোকেনে জিপিএস ট্র্যাকার লাগিয়ে দেয় গোয়েন্দারা। যেন কোকেনগুলো কোথায় যায় এবং কাদের সহায়তায় যায়, তা জানা যায়। তবে কোকেনগুলো যে একেবারে রাশিয়ার সরকারি ফ্লাইটে উঠে যাবে, তা কল্পনাও করতে পারেনি গোয়েন্দারা। ১২টি সুটকেসে ভরা কোকেনগুলো সোজা মস্কোতে গিয়ে পৌঁছায়।
রাশিয়াতে পৌঁছানোর পর সেই কোকেনগুলো আটক করা হয়। এগুলো পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে রাশিয়ান পুলিশ। আটকদের মধ্যে দুজন রাশিয়ান দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মকর্তা ও একজন পুলিশ কর্মী এবং বাকি দুজন সেই কোকেন সংগ্রহ করতে আসা ব্যক্তি। সুটকেসবন্দি কোকেনগুলো দূতাবাসের প্যাকেটে রাশিয়ার সরকারি প্লেনে ওঠার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে আর্জেন্টিনার গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে সরকারি ফ্লাইটে কোকেন পাচারের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। এছাড়া কোনো কূটনীতিক নয় বরং দূতাবাসের কর্মচারীরা এ কাজে জড়িত বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে অনেকে অবশ্য এ ঘটনাকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি মার্কিন অপপ্রচার বলেও দাবি করছেন। গত সপ্তাহে বিপুল পরিমাণ কোকেন উদ্ধারের সম্পূর্ণ বিষয়টির তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর এর সঙ্গে আরো ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছে অনেকেই। মাত্র পাঁচজন ব্যক্তি কিভাবে এতগুলো কোকেন নিয়ে মস্কোতে পাচার করল সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।