সন্ত্রাস, অনাহার থেকেও পাকিস্তানের বড় সমস্যা এই বিষ, মৃত্যু মুখে ৬ কোটি
কলকাতা টাইমস :
এমনিতে পাকিস্তানের এখন সব থেকে বড় সমস্যা মূল্যবৃদ্ধি-অনাহার। যাতে পাকিস্তানের মানুষ না জড়িত। কিন্তু জানেন কি সন্ত্রাসের জননী পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধি থেকে এক বিরাট সমস্যা রয়েছে। আর তা হল আর্সেনিক। ভূগর্ভস্থ জল থেকে আর্সেনিক বিষাক্ততার মৃত্যুমুখে রয়েছে পাকিস্তানের প্রায় ৬ কোটি মানুষ। এই দেশের আর্সেনিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সাম্প্রতিক গবেষণায় ওঠে এসেছে এই সত্য।
আমেরিকার স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্সে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, পাকিস্তানের সিন্ধু নদীর অববাহিকার ভূগর্ভস্থ এলাকায় অতিবিপজ্জনক মাত্রার আর্সেনিক দূষণের স্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে।গবেষকরা পাকিস্তানের জুড়ে প্রায় ১২০০টি স্থান থেকে থেকে ভূগর্ভস্থ নমুনা পরীক্ষা করে দেখিয়েছেন যে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মিলিয়ন মানুষ যে জল ব্যবহার করে তার প্রতি লিটারে ৫০ মাইক্রোগ্রামের চেয়েও বেশি আর্সেনিক পাওয়া গেছে।
সরকারের কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন ওয়াটার রিসোর্সের প্রধান লুবনা বুখারি জানান, দেশের ভুগর্ভস্থে ক্রমবৃদ্ধিহারে ও অস্বাভাবিকভাবে আর্সেনিকের মাত্রা বৃদ্ধিজনিত সমস্যা নিয়ে পাকিস্তান সতর্ক আছে।
তিনি জানান, এটি আসলেই একটি উদ্বেগজনক। নিয়ম ও বিধিনিষেধ বহির্ভূতভাবে মানুষ নির্মমভাবে ভূগর্ভস্থ পানিকে দূষিত করছে এবং এটি আর্সেনিকের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
পাকিস্তানে আর্সেনিক হুমকির কথা উল্লেখ করে গবেষকরা এর জরুরী সমাধান, সচেতনতা বৃদ্ধি, জল দূষণমুক্ত করা, জলের বিকল্প উৎস অনুসন্ধান এবং আর্সেনিক অপসারণের জন্য তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
ইসলামাবাদের জল বিশেষজ্ঞ ইমরান খালেদ জানান, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে এ ঝুঁকিতে রয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি আরও জানান, মানুষের জীবনের নিশ্চয়তার জন্য জল পর্যবেক্ষণ প্রধান উপায়। পাকিস্তানের উচিত আর্সেনিক আক্রান্ত সকল ধরণের জলের উৎস শনাক্ত করা এবং জরুরী ভিত্তিতে খাবার জল পরীক্ষা করা।