হাসপাতালের আউটডোরে বসবেন জ্যোতিষীরা!
জ্যোতিষীর কাছে যেতে হলে আর জুয়েলারির দোকানে যেতে হবে না। খুঁজতে হবে না রাস্তার ধারে বসে থাকা টিয়ার খাঁচা-সহ ভবিষ্যদ্বক্তাদের। হাসপাতালের আউটডোরেই এ বার এ বার দেখা মিলবে তাদের! রীতিমতো চিকিৎসকদের মতোই আলাদা ঘরে আপনাদের জন্য অপেক্ষা করবেন তাঁরা। কী ভাবছেন, ভুয়ো খবর? মোটেই নয়। এমনটাই হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী দিনে এমনই আশ্চর্য পরিষেবা মিলবে হাসপাতালে। থাকবেন হস্তরেখাবিদ, বাস্তু বিশেষজ্ঞ ও ভবিষ্যদ্বক্তা, জ্যোতিষের সব বিভাগেরই প্রতিনিধি। মাত্র পাঁচ টাকার টিকিটের বিনিময়েই রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা জেনে নিতে পারবেন তাঁদের ভবিষ্যৎ। জেনে নিতে পারবেন আয়ুরেখার উপর কোন কোন গ্রহ কুপ্রভাব ফেলবে বা ফেলবে না।
ভোপালে অবস্থিত মহর্ষি পতঞ্জলি সংস্কৃত সংস্থান থেকেই আনা হবে তাঁদের। এই প্রতিষ্ঠান রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। সপ্তাহে দুটি কাজের দিন, এবং সপ্তাহান্তে দেখা মিলবে তাঁদের। এমনকি, আউটডোরে যেমন সিনিয়র চিকিৎসকদের কাছে তালিম নেন জুনিয়র চিকিৎসকরা, এখানেও দেখা যাবে তেমনই চিত্র। অভিজ্ঞ জ্যোতিষীরা হাতে-কলমে শিক্ষা দেবেন তরুণ ও শিক্ষানবিশদের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাইছেন ডিজিটাল ভারতবর্ষ গড়ে তুলতে। অথচ তাঁরই দল মধ্যপ্রদেশে এমন অদ্ভুত ব্যবস্থাপনা শুরু করতে চলেছে। এ দিকে, মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হারের জন্য দায়ী করা হয়েছে তাদের পার্টি অফিসের চারতলার শৌচালয়গুলোকে! সেগুলির অবস্থান সঠিক দিকে না হওয়াতেই নাকি গত ১৪ বছরে সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারেনি কংগ্রেস! এমনই অদ্ভুত দাবি এক বাস্তু বিশেষজ্ঞের।
কাজেই বিজেপি হোক বা কংগ্রেস, রাজনৈতিক দলগুলি যে জ্যোতিষে প্রগাঢ় আস্থা রেখেই আগামী দিনে এগোতে চাইছেন, তা স্পষ্ট।