এই সুন্দরীকে পটাতে নিজের রক্ত দিয়ে প্রেমপত্র লেখেন আমির
কলকাতা টাইমস :
এক সময়ে রীতিমতো সুন্দরী ছিলেন। বলিউডের সঙ্গে সামান্য সংযোগও ছিল। সুপারহিট সিনেমা ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’-এ ছোট্ট একটি রোলে তাঁকে অভিনয় করতেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বলিউড তাঁকে চিনত অন্য পরিচয়ে। তিনি ছিলেন আমির খানের স্ত্রী। আমির খানের প্রথম স্ত্রী সেই রিনা দত্ত এখন একেবারে বদলে গিয়েছেন। তাঁর আগের চেহারার সঙ্গে বর্তমান চেহারার প্রায় কোনও মিলই নেই।
আমির ছোটবেলা থেকেই বলিউডের সঙ্গে যুক্ত। শিশু-অভিনেতা হিসেবে কাকা নাসির হুসেন পরিচালিত ছবি ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’-এ অভিনয় করেছিলেন আমির। বড় হওয়ার পর নতুন করে তৈরি হচ্ছিলেন বলিউডে নিজের উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্য। সেই সময়েই রিনার প্রেমে পড়েন আমির। ১৯৯৯ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রেমকাহিনি সবিস্তার জানিয়েছিলেন খোদ আমির। জানিয়েছিলেন, রিনা ছিলেন আমিরের প্রতিবেশী-কন্যা। দুই পরিবারের বাসস্থান ছিল পাশাপাশি। আমিরের ঘর আর রিনার ঘরের জানলা ছিল একেবারে মুখোমুখি।
রিনাকে দেখার জন্য জানলায় দাঁড়িয়ে থাকতেন আমির। দেখতে দেখতে কখন যে মেয়েটিকে ভালবেসে ফেললেন! প্রোপোজ করলেন রিনাকে। কিন্তু রিনা আমিরের ভালবাসা স্বীকার করতে নারাজ। বারবার অনুরোধেও মেয়েটির মন গলল না। শেষে নিজের রক্ত দিয়ে প্রেমপত্র লিখলেন আমির। সেই প্রেমপত্রই রিনার মন জয় করে ফেলল।
আমিরের প্রথম উল্লেখযোগ্য অভিনয় ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’-এ। সিনেমাটি রিলিজ করে ১৯৮৮ সালে। তার দু’বছর আগেই রিনাকে বিয়ে করে নিয়েছিলেন আমির। সেই বিয়ের গল্পও প্রায় সিনেমার মতোই। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের অফিসে পৌঁছন দু’জনে। সই করে বিয়ে করে ফেলেন। বিয়ের পরে আবার ফিরে যান যে যার বাড়িতে। আমিরের বয়স তখন ২১ বছর। আর রিনার ১৯। রিনা তখনও পড়াশোনা করছেন। আমিরের রোজগারও সামান্য। ফলে সেই সময়ে বিয়ের খবরটা বাড়িতে গোপন রাখবেন বলেই স্থির করেছিলেন আমির-রিনা। বিয়ের পর বহু দিন পর্যন্ত দু’জনের বাড়িতে কেউ জানতেই পারেননি যে, আমির আর রিনা বিয়ে করে ফেলেছেন।
১৯৮৮-তে ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ আমির খানকে রাতারাতি সুপারস্টার করে তোলে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চাও শুরু হয়। বলিউড জেনে ফেলে, দু’বছর আগেই বিয়ে করে ফেলেছেন আমির খান। ইতিমধ্যে অবশ্য ‘কয়ামত…’-এর ‘পাপা ক্যাহতে হ্যায়’ গানে ক্যামেরার সামনে সামান্য সময়ের জন্য মুখও দেখিয়ে ফেলেছেন রিনা। কিন্তু ওইটুকুই, ‘কয়ামত…’-এর পরে ক্যামেরার সামনে আর দেখা যায়নি রিনাকে।
আমির-রিনার দাম্পত্যের প্রথম কয়েকটা বছর সুখেই কাটে। জুনেইদ নামের পুত্রসন্তান এবং ইরা নামের কন্যাসন্তানের বাবা-মা হন দু’জনে। তার পর আস্তে আস্তে দু’জনের দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০০১ সালে রিলিজ করে আমিরের ছবি ‘লগান’। শোনা যায়, এই সময়েই বর্তমান স্ত্রী কিরণের সঙ্গে পরিচয় হয় আমিরের। আলাপ ক্রমশ ভালবাসায় গড়ায়। ২০০২ সালে রিনাকে ডিভোর্স দেন আমির। দুই সন্তান থেকে যায় রিনার কাছেই। ২০০৫-এ আমির কিরণকে বিয়ে করেন।