বৌদ্ধ ভিক্ষুর সাধনার শেষে এবার বাড়ির পথে ১২ খুদে ফুটবলার
কলকাতা টাইমসঃ
থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারের ঘটনায় কিছুদিন আগেই তোলপাড় হয়েছে গোটা বিশ্ব। থাই রীতি অনুযায়ী ক্ষুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ বৌদ্ধ ভিক্ষুর জীবন অতিবাহিত করার পর এবার ঘরে ফিরেছে।
জানা যায়, গুহা থেকে উদ্ধারের পর চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী সাধনায় লিপ্ত হয় ১১ জন বালক ও তাদের কোচ। ৯ দিনের সাধনা শেষে থাই শিশুরা ঘরে ফিরলেও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচকে দীর্ঘ ৩ মাস যাবত ভিক্ষুর জীবন কাটাতে বলেছে ধর্মগুরুরা। শনিবার থাই ফুটবল দলের ওই ১১ সদস্যকে এক বৌদ্ধ গুম্ফা থেকে বের হতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড-মায়ানমারের সীমান্তের ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘থাম লুয়াং’ গুহা থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহা। কম চওড়া আর অনেক প্রকোষ্ঠ থাকায় গুহাটি ভয়ঙ্কর। গত ২৩ জুন ওই গুহায় বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়ে থাইল্যান্ডের ১২ খুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ। খুদে ফুটবলারদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। আর তাদের সহকারী কোচ এক্কাপোল জানথাওংয়ের বয়স ২৫ বছর। তারা মু পা নামের একটি ফুটবল দলের সদস্য। ৯ দিন সেখানে আটকে থাকার পর ২ জুলাই ব্রিটিশ ডুবুরি রিচার্ড স্ট্যানটন ও জন ভলানথেন তাদের সন্ধান পান। তাদের উদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পরেন বিশ্বের নামকরা ডুবুরিরা। আটকে পড়া কিশোর ফুটবল দলটিকে বের করে আনতে ৯০ জন বিশেষজ্ঞ ডুবুরির একটি দল কাজ করছে, যাদের ৫০ জন বিদেশি এবং ৪০ জন থাই।
থাইল্যান্ডে কোনও বিপদ থেকে উদ্ধারের পর পুরুষদের সাধনা করার নিয়ম রয়েছে। ভিক্ষু হয়ে সাধনার এই অভিজ্ঞতা শিশুদের আত্মিক শুদ্ধতা দেবে, এমনটাই মনে করা হয়। সাধনার গোটা সময় জুড়ে এই শিশুরা ধ্যান, প্রার্থনায় এবং সেবা কাজে মগ্ন থাকে। মন্দির ছাড়ার আগে ধর্মগুরুর কাছ থেকে আশীর্বাদ নেয় তারা। থাইল্যান্ডে মনে করা হয় সৌভাগ্যের সংখ্যা ৯। যে কারণে ৯ দিন ধরে তারা ভিক্ষুর সাধনা করে।