করোনা থেকে বাঁচতে ছাড়ুন কাগজের নোট, হু’য়ের সতর্কতা
কলকাতা টাইমস :
২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই করোনাভাইরাস। ব্যবসা-বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলছে। এই আতঙ্কে নবতম সংযোজন কাগজের নোটের মাধ্যমেও করোনাভাইরান ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কাগজের নোটগুলো একজনের হাত থেকে অন্যজনের হাতে যাচ্ছে। ফলে সহজেই এই মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। পুরনো নোট, বিশেষ করে হাসপাতাল ও বাজারে ব্যবহৃত নোটগুলো বেশি ঝুকিপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নোংরা নোটের ব্যবহার এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে করোনভাইরাস বা কোভিড -১৯ সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কাগজের নোটের পরিবর্তে স্পর্শবিহীন ডিজিটাল লেনদেনে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে।
এর আগে, গ্রাহকদের কাগজের নোট স্পর্শ করার পরে হাত ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল জাতিসংঘ। কারণ কাগজের নোটে কোভিড -১৯ বেশ কয়েক দিন ধরে আটকে থাকতে পারে।
ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা আমলে নিয়ে জানিয়েছে “ব্যাংক নোট ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস বহন করতে পারে”। কাগজের নোট ব্যবহারের পর জনগণকে হাত ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
দূষিত হওয়ার কারণে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে কাগজের মুদ্রা। তাই এটির ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। বিনিময় মাধ্যম হিসেবে কাগজের নোটের বিকল্প চিন্তা করার সময় এসেছে। স্যানিটাইজেশনের সবচেয়ে সহজ প্রক্রিয়া জল কিন্তু কাগজের নোট উপাদানগত কারণে জল দিয়ে স্যানিটাইজেশন করা সম্ভব নয়। ফলে দুষিত নোটগুলো করোনাভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
ব্যাংক নোটগুলো একজনের থেকে অন্যজনের কাছে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। কাগজের নোটের নগদ লেনদেন থেকে বিশ্বকে বেরিয়ে আসতে হবে। যদিও ইতোমধ্যে উন্নত বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কাগজের মুদ্রার ব্যবহার সংকুচিত হয়েছে। তারা নগদ লেনদেন ছেড়ে ডিজিটাল লেনদেন নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। যেটা অবশ্যই আশার সঞ্চার করেছে।