September 29, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

বাঁচুন এই ৯টি কারণ থেকে, নইলে মুহূর্তেই বিরক্তিকর আপনি

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মানুষের দু’চোখের বিষ হয়ে ওঠার অসংখ্য উপায় রয়েছে। এর পেছনে বেশি ঘামও ঝরাতে হয় না। সোশাল মিডিয়া এখন  বন্ধুত্ব গড়ে তোলার অন্যতম মাধ্যম। কেউ আগ্রহী হলে  আপনার প্রোফাইল নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের মুখোমুখি হওয়ার প্রয়োজন নেই। সোশাল মিডিয়ায় আপনার কার্যক্রম এক পলক দেখেই বিষিয়ে উঠতে পারে যে কারো মন। এখানে দেখে নিন এমনই কিছু বিষয়ের কথা।
১. বেশি বেশি ফটো শেয়ার করা : মধুচন্দ্রিমার ছবি থেকে শুরু করে ভাইয়ের গ্র্যাজুয়েশন বা নতুন স্মার্টফোনের ছবিটি হয়তো তুলে দিতে অস্থির হয়ে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কথায় কথায় এসব ছবি পোস্ট করা বাস্তবজীবনে সম্পর্কের হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। গবেষক ডেভিড হাগটন জানান, যাদের ছবি অনবরত শেয়ার করছেন তাদের কাছে তা দৃষ্টিকটু হয়ে দাঁড়াবে। আর আপনি হবেন বিরক্তি এক মানুষ।
২. খুব বেশি বা খুব কম ফেসবুক বন্ধু থাকা : এক গবেষণায় কলেজ শিক্ষার্থীদের পছন্দের ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তারা এমন সব প্রোফাইল বের করেন যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা যায়। ২০০৮ সালের ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ওই সকল প্রোফাইলে প্রত্যেকের গড়ে ৩০০ জন বন্ধু রয়েছে। খুব বেশি বা একেবারে কম সংখ্যক বন্ধু যাদের রয়েছে, তাদের প্রতি শিক্ষার্থীদের কোনো আগ্রহ ছিল না।
৩. সম্পর্কের শুরুতেই ব্যক্তিগত গোপন তথ্য ফাঁস করা : বন্ধুত্বের নতুন সম্পর্কে মানুষ নানা বিষয়ে কথোপকথন চালিয়ে যান। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ ও চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদান চলে। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় কেউ-ই নিজের সম্পর্কে একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য দিতে চান না। আবার যারা এ কাজটি করেন, তাদের সম্পর্কে নতুন বন্ধু ভালো ধারণা লাভ করেন না। আমেরিকার ইলিনয়েস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সুসান স্প্রেচার জানান, পরিচয়ের শুরুতেই একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ ভালো দেখায় না। এতে আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারণার সৃষ্টি হবে।
৪. নিজেকে গোপন রেখে শুধু অন্যেরটা জানতে চাওয়া : সুসান স্প্রেচারের একই গবেষণায় বলা হয়, পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করা যেতে পারে। তবে এখানেও একটা সমস্যা রয়েছে। নিজের কথা না বলে কেবল অন্যেরটা শুনতে চাইলে আপনি অপছন্দনীয় হয়ে উঠবেন। গবেষণায় আরো বলা হয়, কেউ নিজের বিষয়ে বলতে না চাইলে বার বার চাপ দেয়া ঠিক নয়। এতে মুহুর্তের মধ্যে আপনি তার চোখের বিষ হয়ে উঠবেন।
৫. ক্লোজ-আপ প্রোফাইল ফটো : যদি ফেসবুক বা অন্যান্য  সোশাল মিডিয়ায় এমন কোনো প্রোফাইল ছবি যা খুব কাছাকাছি থেকে তোলা হয়েছে, তবে আজই বদলে ফেলুন। মাত্র দেড় ফুট দূর থেকে ছবি তোলা হয়ে তা প্রোফাইল ছবি হিসেবে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে।
৬. আবেগ লুকিয়ে ছবি দেওয়া : কেউ দাঁত বের করে হাসছেন বা কষ্টে চোখ দিয়ে পানি বেয়ে পড়ছে- এসব আবেগ লুকিয়ে ছবি তুলে তা সোশাল মিডিয়ায় দিতে নেই। এক গবেষণায় বলা হয়, মেকি আবেগ বা সত্যিকার আবেগ লুকিয়ে তোলা  ছবি দেখলেই মানুষে ভ্রূকুঞ্চিত হয়ে ওঠে। যিনি এভাবে ছবি তুলেছেন, তাকে অনেকটা প্রতারক বলে মনে হয়।
৭. নিখুঁত অভিনয় ফুটিয়ে তোলা হলে : ২০১০ সালে ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়, অনেকেই একেবারে নিখুঁত অঙ্গভঙ্গি বা পোজের ছবি তুলে দেন ফেসবুকে। এই ছবিগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। কিন্তু অন্যের চোখে তা এক ধরনের স্বার্থপরতার লক্ষণ, যে কিনা সব সময় নিজেকে সবার চেয়ে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে চান।
৮. অতিমাত্রায় সন্তুষ্ট করার প্রবণতা : অন্যকে তুষ্ট করার প্রবণতা অনেকের মাঝেই দেখা যায়। কিন্তু এর প্রবল প্রকাশ কারোরই ভালো লাগে না। সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়, চাকরির ইন্টারভিউ বা বসকে খুশি করতে গিয়ে সাধারণত অনেকেউ অতিমাত্রায় তেলবাজি শুরু করেন। এটা প্রাথমিক অবস্থাতেই সবার কাছে বিরক্তির বিষয়।
৯. খুব বেশি স্নায়ুচাপে ভোগা : ২০১৩ সালে আমেরিকার মোনেল কেমিক্যাল সেন্টারের এক গবেষণায় বলা হয়, যারা খুব বেশি স্নায়ুচাপে ভোগেন তারাও অন্যদের চোখে বিরক্তিকর মানুষ। কাজের চাপ, দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজ ইত্যাদি সারতে যারা সব সময় টেনশনে ভোগেন তারা অন্যের চোখে দারুণ বিরক্তিকর মানুষ।

Related Posts

Leave a Reply