আছে অথচ নেই, সেই আর্মিকেই স্বর্ণপদক
কলকাতা টাইমস :
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে তাঁরা অস্ত্র দিয়ে নয়, বুদ্ধি দিয়ে প্রতিপক্ষকে ক্রমাগত ধোঁকা দিয়ে রক্ষা করেছেন নিজ বাহিনীকে। এই বাহিনীর সদস্যরা নিজেরাও থেকেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মার্কিন বাহিনীর সবচেয়ে গোপন এই ইউনিটের অস্তিত্বও গোপন রাখা হয় বহুবছর। এবার তাদের ‘কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল’ দিতে চলেছে মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষিত সেনাদল এক ধরনের মেকি আবহ তৈরি করত। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, নানা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে কৌশলে শত্রুপক্ষকে বিশেষ করে সম্মুখ সমরে বোকা বানানো। ভুয়া রেডিও ট্রান্সমিশন, শত্রুর ভুয়া সংকেত ও ট্যাংকসদৃশ বস্তু তৈরির মাধ্যমে শত্রুপক্ষকে ধোঁকা দিত তারা। ভূতুড়ে অভিযানের জন্যই সে সময় সেনাবাহিনীতে ‘ঘোস্ট আর্মি’ বা ‘ভূত আর্মি’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল ২৩তম হেডকোয়ার্টার্স স্পেশাল ট্রুপস ও ৩১৩৩তম সিগন্যাল সার্ভিস কম্পানি। ২৩তম বাহিনীর সদস্য ছিল মাত্র এক হাজার ১০০ জন। অথচ তারা এমন আবহ তৈরি করে রেখেছিল, দেখে মনে হতো তাদের সদস্য সংখ্যা ৩০ হাজার।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দক্ষ ওই সেনাদের সম্মান দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘ভূত আর্মিকে’ সম্মান জানাতে গত মঙ্গলবার একটি বিলে স্বাক্ষর করেন। সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তারা ‘কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল’ পেতে যাচ্ছে। এই ইউনিটের সদস্যদের মধ্যে স্থপতি, প্রকৌশলী, চিত্রকরসহ নানা পেশার মানুষ ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনেক পরে পর্যন্ত এই বাহিনীর কথা গোপনই ছিল।