এক সপ্তাহেই কমবে ডায়াবেটিসের লক্ষণ, খান এই ঘরোয়া ওষুধটি
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
গত কয়েক দশকে যে হারে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এখন থেকেই যদি সাবধানতা অবলম্বন করা না হয়, তাহলে আগামী কয়েক বছরে এই রোগ যে আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে, তা বলাই বাহুল্য! সাবধান হওয়ার প্রয়োজন কেন রয়েছে? কারণ ডায়াবেটিসের চরিত্র বড়ই ভয়ঙ্কর। এই রোগটি চুপিসারে এসে বাসা বাঁধে শরীরে, আর একেবারে কোনও লক্ষণ ছাড়াই ধীরে ধীরে শেষ করে দেয় রোগীর শরীর। তাই তো রোগের আক্রমণের আগেই নিজেকে তৈরি করতে শুরু করুন। না হলে কিন্তু বিপদ!
কীভাবে করবেন এই কাজটি? প্রথমেই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন অনুন। ডায়েটের দিকে নজর দিন। আর অবশ্য়ই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। তাহলেই দেখবেন অনেকটাই নিশ্চিন্তে, সুস্থভাবে জীবন কাটাতে পারছেন। তবে এই প্রবন্ধে যারা ডায়াবেটিসে ইতিমধ্য়েই আক্রান্ত হয়েছে তাদের কষ্ট কমাতে একটি ঘরোয়া ওষুধ সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা এক্ষেত্রে দারুন কাজে আসে। ডায়াবেটিস একটি লাইফ স্টাইল ডিজঅর্ডার। অর্থাৎ আমাদের দৈনন্দিন জীবযাত্রাগত কিছু ভুল কাজের কারণেই মূলত এই রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। তাই তো এই মারণ রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই লাইফস্টাইল চেঞ্জের পরামর্শ দেন।
কখন কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হন? নানা কারণে কারও শরীরে যথন পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হয় না অথবা ইনসুলিন নিজের কাজ ঠিক মতন করতে পারে না, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। আর এমনটা হলেই রোগী ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগে আক্রান্ত হন। শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করলে নানা ধরনের লক্ষণ দেখা যেতে শুরু করে।
যেমন- বারং বার প্রস্রাব চাপা, জল তেষ্টা এবং খিদে বেড়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক হারে ওজন কমতে থাকা, ক্ষত সারতে সময় লাগা, ক্লান্তি প্রভৃতি। এক্ষেত্রে প্রথমেই ডায়াটের দিকে নজর দিতে হবে। চিকিৎসক যেমনভাবে বলে দেবেন সেই ভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। সেই সঙ্গে ওষুধ ও শরীরচর্চা তো মাস্ট!
প্রসঙ্গত, এই প্রবন্ধে যে ঘরোয়া চিকিৎসাটি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, সেটি ডায়াবেটিসের এইসব লক্ষণ কমাতে দারুন কাজে আসে। তাই জীবন-মৃত্যুর এই রেসে যদি ডায়াবেটিসকে হারাতে হয়, তাহলে একবার চোখ রাখতেই হবে এই লেখায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১. ঢেঁড়স– হাফ কাপ (ছোট ছোট করে কাটা) ২. আদার রস– ২ চামচ প্রতিদিন এই আয়ুর্বেদিক ওষুধটি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি কেউ ঠিক মতো খাবার খান এবং শরীরচর্চার দিকে নজর দেন, তাহলে একথা গ্য়ারেন্টি দিয়ে বলা যেতে পারে যে এক মাসের মধ্যেই তার রোগ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। প্রসঙ্গত, ঢেঁড়সে ফাইবার এবং ভিটামিন প্রচুর মাত্রায় থাকে। আর এই দুটি উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অপরদিকে আদায় রয়েছে পনিফেনলস নামে একটি উপাদান, যা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই সঙ্গে এই রোগের লক্ষণগুলি কমাতেও দারুন কাজে দেয়।
ওষুধটি বানানোর উপায়:
ব্লেন্ডারে পরিমাণ মতো দুটি উপকরণ এবং জল মিশিয়ে নিন। ভাল করে উপকরণগুলি পিষে নিন। যে জুসটা তৈরি হবে, সেটা একবার ছেঁকে নিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই জুসটা টানা এক মাস খেতে হবে।