কাশ্মীরেও আছে বাংলাদেশ, জানেন কি সেটা
কলকাতা টাইমস :
কেনো ওই গ্রামের নাম বাংলাদেশ? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে একাত্তরের দিনগুলোতে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশে চলছে পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা। আগুনে জ্বলছে গ্রামের পর গ্রাম। প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছে মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই আশ্রয় নিচ্ছে প্রতিবেশী দেশ আমাদের ভারতে। সে সময় ভারতের কাশ্মীরের পাকিস্তানঘেঁষা জেলা বান্ডিপুরায় এক দুর্ঘটনা ঘটলো।
সেখানকার আলুসা তহশিলের ছোট্ট গ্রামের নাম জুরিমন। সেখানে হঠাৎ আগুনে পুড়ে যায় ৫/৬টি ঘর। এতে গৃহহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই গ্রামের মানুষ। তখন ক্ষতিগ্রস্তরা ওই জায়গা থেকে কিছুটা সরে পার্শ্ববর্তী ফাঁকা জায়গায় সবাই মিলেই ঘর তৈরী করেন । ডিসেম্বরে যখন স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। একই সময় জুরিমনের গৃহহীন মানুষগুলো তাদের দুঃসময় মোকাবিলা করে শুরু করেন নতুন জীবন। আবেগ আর ভালোবাসায় তখন তারা তাদের নতুন গ্রামের নাম রাখেন ‘বাংলাদেশ’।
কাশ্মীরে সব মিলিয়ে ২২টি জেলা। শ্রীনগর থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তরে বান্ডিপুরা। কেউ একজন এই বান্ডিপুরা ও সোপুরের মাঝ দিয়ে মাটির রাস্তা ধরে ৫কিলোমিটার হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন কাশ্মীরের ‘বাংলাদেশ’-এ। উলার হ্রদ ঘেষে ভাসমান ওই গ্রামটিতে বাইরের মানুষের আনাগোনা কম। অপরূপ সৌন্দর্য ওই গ্রামটির। এর চারদিকে পানি, একপাশে সুউচ্চ পর্বতমালা। গ্রামজুড়ে অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জড়িয়ে আছে।
যদিও এখনও অনেক নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে না ওই গ্রামের বাসিন্দারা। তবে দিন দিন অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এরইমধ্যে সেখানে স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বান্ডিপুরার ডিসি অফিস ২০১০ সালে এ অঞ্চলকে গ্রামের মর্যাদা দিয়েছে। ওই গ্রামবাসীর প্রধান জীবিকা মাছ ধরা ও পানিবাদাম সংগ্রহ করা। ৫/৬টি ঘর দিয়ে শুরু হলেও ওই বাংলাদেশ গ্রামে এখন পঞ্চাশেরও বেশি ঘর। যদিও এ প্রজন্মের অনেকেই জানেন না গ্রামটির জন্ম ইতিহাস