‘ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি মুসলিমরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ -ত্রিপুরার রাজ্যপাল
কলকাতা টাইমসঃ
ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেছেন, ‘উদ্বাস্তু’ নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বানুযায়ী ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি মুসলিমরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং কোন দেশই তাদের আশ্রয় দেওয়ার অনুমতি দিতে চাইবে না। ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছেন, আসামে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের প্রক্রিয়াকে কালিমালিপ্ত করতে বিরোধীরা জঘন্যতম প্রচার চালাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসলে সেখানেও নাগরিক নিবন্ধন করা হবে জানিয়েছে বিজেপি। এই বিষয়ে তথাগত রায় জানান, রাজ্যপালের পদে থেকে কোন রাজনৈতিক মন্তব্য করতে পারবো না। আমি কেবল বলতে পারি একটা বিশাল সংখ্যায় অনুপ্রবেশকারী পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে। তারা বিহারি মুসলিম ছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করা হয়। তারা প্রত্যেকেই পাকিস্তানি সহযোগী ছিলেন এবং এই মানুষগুলো পাকিস্তানে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান সরকার জানিয়ে দেয় পূর্ব পাকিস্তান নিবাসী কোন মানুষকে তারা গ্রহণ করবে না। এরপরই তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করে। একটা বিশাল সংখ্যক উর্দুভাষী বিহারী মুসলিম কলকাতায় বসবাস করতে শুরু করে এবং তাদের সহায়তা করে বাম রাজনীতিবিদরা।
তথাগত রায় জানান, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বসবাসকারী বাংলাদেশি মুসলিমরা শরণার্থী নয়, তারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। সভ্য রাষ্ট্রগুলি উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেয় কিন্তু কোন দেশই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের অনুমোদন দেয় না। জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয়কারীরা উদ্বাস্তু। কিন্তু যারা কাজের খোঁজে ভারতে প্রবেশ করেছে তারা উদ্বাস্তু নয়।
অাসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে ত্রিপুরার রাজ্যপাল বলেন, ধর্মীয় ও জাতিগত উন্মত্ততাকে জাগিয়ে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলি ও গণমাধ্যমের একটা অংশ এনআরসি থেকে হিন্দুদের বাদ পড়ার মতো কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোই বেশি করে আলোকপাত করছে। কোন মানবিক প্রচেষ্টাই একেবারে নিখুঁত হতে পারে না এবং কিছু ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে। এখন আমরা এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করার পথে রয়েছি। এইসময় হতাশা ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।