মার্চ মাসে এই আট দিন সাবধানে না থাকলে ঘোর বিপদ সম্মুখে
কলকাতা টাইমস :
মার্চ মাসে এই আট দিন সাবধানে থাকুন! নাহলে বিপদে পরতে পারেন আপনিও। বসন্তোৎসবের পূর্বের এক সপ্তাহকাল ভারতীয় পরম্পরায় ‘হোলাষ্টক’ নামে পরিচিত। সর্বমোট আটদিন হোলাষ্টক পর্ব থাকে। এই আটদিন বেশ কিছু অতিপ্রাকৃত বিপদের সম্ভাবনা শিয়রে নিঃশ্বাস ফেল বলে জানায় শাস্ত্রীয় পরম্পরা।
‘হোলাষ্টক’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ করলে দু’টি শব্দ পাওয়া যায়— ‘হোলা’ এবং ‘অষ্টক’। অর্থাৎ হোলি বা বসন্তোৎসবের দিনটিও এই পর্বের অন্তর্গত। ২০১৭-য় হোলাষ্টকের দিনগুলি হল ৫ থেকে ১২ মার্চ।
শিবপুরাণ অনুষায়ী, হোলাষ্টকের প্রথম দিনটিতে শিব কামদেবকে তাঁর তৃতীয় নয়নের অগ্নিতে ভস্ম করেছিলেন। পঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং হিমাচল প্রদেশে হোলাষ্টক বিশেষ ভাবে পালিত হয়।
কিন্তু এই আট দিনের মধ্যে বিপদ কোথায়? বৈদিক জ্যোতিষ মতে, এই আট দিনের প্রত্যেকটিতে এক একটি বিশেষ গ্রহ প্রভাব বিস্তার করে। প্রথম দিন চন্দ্র, দ্বিতীয় দিন রবি, তৃতীয় দিন শনি, চতুর্থ দিন শুক্র, পঞ্চম দিন বৃহস্পতি, ষষ্ঠ দিন বুধ, সপ্তম দিন মঙ্গল এবং পূর্ণিমার দিন রাহু তুঙ্গে অবস্থান করে। এই বিশেষ অবস্থানের কারণে যে কোনও ধরণের অপ্রাকৃত অমঙ্গলের সম্ভাবনা থেকে যায় সব রাশির জাতকের ক্ষেত্রেই।
হোলিকা দহন, যাকে বাংলায় ‘চাঁচর’ বলে উল্লেখ করা হয়, তার পিছনেও রয়েছে এই হোলাষ্টক-জনিত অমঙ্গল দূরীকরণের চেষ্টা। জীর্ণ পাতা-কাঠকুটো একত্র করে অগ্নি সংযোগ করে অশুভকে প্রতিহত করা হয় বলে মনে করে ভারতীয় পরম্পরা।
তা ছাড়া, হোলাষ্টক পর্বটি অপতান্ত্রিক ক্রিয়ার জন্য বিশেষ প্রশস্ত। মারণ, উচাটন, বশীকরণ ইত্যাদি এই আট দিনে খুব সাফল্যের সঙ্গে করা যায় বলে মনে করা হয়।
কিন্তু সেই সঙ্গে এ-ও বলা হয় যে, হোলাষ্টক পর্ব উচ্চমার্গের সাধকের সামনে মোক্ষসন্ধানের বিরাট সম্ভাবনাকে উন্মুক্ত রাখে। কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এই দিনগুলি অতিপ্রাকৃত অশুভকে ডেকে আনতে পারে বলেই জানায় ভারতীয় পরম্পরা।