মেয়েরা সাবধান! স্ট্যালিনকে ভেবে সম্পর্কে জড়ান ..
কলকাতা টাইমস :
বিষয়টি যেমন, তার চেয়ে বেশি অন্ধকার ও গোপনীয় বলেই মনে হয়। কিন্তু কিছু একটা আছে জোসেফ স্ট্যালিনের মধ্যে যা হয়তো অনকের চোখে পড়েনি। সেই বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন জুলিয়া বেয়ার্ড।
তিনি লিখেছেন, স্ট্যালিন বলতে সবাই স্বৈরশাসক আর নিষ্ঠুর দখলদারী খুনীকেই সবাই চেনেন। কিন্তু কম বয়সী স্ট্যালিনকে দেখলে যেকোনো নারী প্রেমে পড়বেন। ফুরফুরে পরিপাটি চুল আর কালো দুই চোখ যেকোনো নারীর হৃদয় হরণের জন্য যথেষ্ট।
সেই তরুণ স্ট্যালিনের ছবি সব রোমান্টিক তরুণীর কাছেই থাকা উচিত, লিখেছেন জুলিয়া। তখন জোসেপ ছিলেন রোমান্টিক কবি আর বিপ্লবী। কিন্তু পরে বদলে যান অনায়াসে। স্বামী হিসাবে দায়িত্ববান ছিলেন না। প্রচুর মদ্যপান করতেন, সব বিষয়ে বিতর্কে জড়াতেন আর অন্য মহিলাতে আসক্ত হতেন। দ্বিতীয় স্ত্রী নাদেঝদা অ্যালিলুয়েভাকে জনসমক্ষে অপমান করেছিলেন। তিনি ওই স্ত্রীর বন্ধুদের আটক করেছিলেন। কারণ বন্ধুরা তার স্ত্রীকে বলেছিলেন যে, স্ট্যালিন মানুষ মারছেন। মাত্র ৩১ বছর বয়সী অ্যালিলুয়েভা এক ডিনার পার্টিতে নিজেকেই গুলি করেন। কারণ সবার সামনে স্ট্যালিন তার দিকে সিগারেট ছুঁড়ে মেরেছিলেন।
টিনএজ মেয়েদের স্ট্যালিনের এমন পরিবর্তনের কারণগুলো বলা উচিত। স্ট্যালিন যেকোনো মহিলার কাছে শিহরণ ছিলেন। রোমান্টিক কবি সময়ের সঙ্গে হয়েছিলেন আগ্রাসী খুনি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারী। ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমন নিয়ন্ত্রণ, আগ্রাসন বা নিপীড়ন কিভাবে চিহ্নিত করা যায় তাও টিনএজ মেয়েদের জানা উচিত।
অস্ট্রেলিয়ার অবার্ন শহরের প্রাক্তন মেয়র সালিম মেহাজের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়া স্ত্রী আয়েশার সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন তা স্ট্যালিনের কথা মনে করে দেয়। ফোনে তিনি স্ত্রীকে ব্যাপক গালাগালি ও হুমকি দেন । ফোনে তিনি স্ত্রীর মৃত্যু কামনা করেন। তাকে ঘুরিয়ে ফোন না করলে ধর্ষণ করার হুমকিও দেন।
অথচ কয়েক মাস আগের বিলাসী বিয়ের পর সালিম বলেছিলেন, আমার স্ত্রী আয়েশা আমার জীবন। কয়েক মাস বাদেই তিনি স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে অশালীন কথা বলেন। অনেকের মতে, আয়েশার বোঝা উচিত ছিল সালিম কেমন মানুষ ছিলেন। পুরুষ হিসাবে শক্তি প্রদর্শন এক বিষয়। আর আত্মমুগ্ধতায় ভুগে নিপীড়ন আরেক বিষয়।
মনোবিজ্ঞানী ডিনা ম্যাকমিলান লিখেছেন, প্রত্যেক টিনএজ মেয়ের নির্যাতনমূলক আচরণের চিহ্ন সম্পর্কে জানা উচিত। কারো সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ার আগে এগুলো বুঝতে হবে। বিচ্ছিন্নতা, বন্ধুদের থেকে আলাদা করে ফেলা, মারাত্মক অপমানজনক কথা, প্রভাববিস্তার করা ইত্যাদি লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়।
এসব সম্পর্কে ধারণা থাকলে আগে থেকেই মেয়েরা নিজের অবস্থা বুঝে নিতে পারবে। ভালোবাসার অভিনয়, নির্যাতনের সম্ভাবনা ইত্যাদি পরিষ্কার বুঝতে পারলে ফাঁদে পা দেওয়ার ঘটনা অনেক কমে আসবে।
রেডিও হোস্ট ফোর্ডহ্যাম মেহাজেরের প্রসঙ্গ টানেন। প্রাক্তন এই মেয়র দারুণ আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব তুলে ধরেন। তিনি ছিলেন রোমান্টিক। বিয়ের পেছনে তিনি যতটা ঘাম ঝরিয়েছেন তা দেখে আয়েশার বোঝার উপায় নেই যে তার মাঝে কোনো লক্ষণ থাকতে পারে।
এমন অনেক পুরুষ আছেন যারা মুখের কথায় দারুন নির্যাতন করতে পারেন। তাদের আচরণ যতটা বোঝা যাবে, একজন নির্যাতনকারীর চরিত্র যতটা প্রকাশিত হতে থাকবে, ভবিষ্যতের বিভীষিকা ততটাই স্পষ্ট হবে। আর এ বিষয়ে ধারণা থাকলে আয়েশার মতো অবস্থা কোনো মেয়ের হবে না।