সাবধান ! এই ১১টি মাছ ভুলেও ধরতে যাবেন না, নচেৎ সারাজীবন পছতাবেন
কলকাতা টাইমস :
পৃথিবীতে মাছের প্রজাতি প্রায় তিন হাজার। তাদের মধ্যে কিছু কিছু মাছ সত্যিই চমকে দেবার মতো, যেমন ইলেকট্রিক ইল বা বৈদ্যুতিক পাঁকাল মাছ। এরকম আরও অনেক মাছ রয়েছে যা সত্যি আপনাকে চমকে দিবে। আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে এ মাছগুলো ভুলেও ধরতে যাবেন না, তাহলে বিপদও হতে পারে। তহেলে আসুন জেনে নিই সে মাছগুলোর কথা।
১। ইলেকট্রিক ইল : ইলেকট্রিক ইল কিন্তু পাঁকাল মাছ নয়, বাংলায় সে পড়বে ছুরি মাছদের পর্যায়ে। ৬০০ ভোল্ট অবধি ইলেকট্রিক শক মারতে পারে! সেভাবেই শিকার ধরে – বা মারে – এই বৈদ্যুতিক পাঁকাল। গবেষণা করে দেখা গেছে যে, বাদুড়রা যেমন শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে পোকামাকড়ের অবস্থান জানতে পারে, তেমন ইলেকট্রিক ইল’ও কারেন্ট মারার সময় সেই পন্থায় শিকারের অবস্থিতিও জানতে পারে।
২। ডোরাকাটা তীরন্দাজ মাছ : এই মাছগুলো জলের নীচে থেকেই পুকুরের ধারের ঘাস-গুল্ম থেকে পোকামাকড় শিকার করতে পারে। কিভাবে? মুখ থেকে জলের পিচকিরি ছুঁড়ে পোকাগুলোকে পানিতে ফেলে দেয় এই তীরন্দাজ মা। বড় মাছগুলো তিন মিটার দূরত্বে বসা শিকারকে ঘায়েল করতে পারে!
৩। স্টারগেজার : এই মাছটি বালির মধ্যে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকে শিকার ধরার আশায়। শিকার এলে লাফ দিয়ে উঠে শিকার ধরে। স্টারগেজার মাছের চোখ মাথার উপর বসানো, থ্যাবড়া মুখটাও ওপরদিকে বাঁকানো। মনে রাখতে হবে, মাছটি কিন্তু বিষাক্ত।
৪। স্টোনফিশ বা পাথর মাছ : এ’মাছটিও বিষাক্ত এবং ক্যামোফ্লেজ, মানে ছদ্মবেশ ধারণে ওস্তাদ। দেখলে মনে হবে যেন শ্যাওলায় ঢাকা এক টুকরো পাথর। কিন্তু পায়ের নীচে পড়লেই বিষাক্ত কাঁটাগুলো ফুটে যাবে! বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত মাছগুলোর মধ্যে পড়ে এই পাথর মাছ৷ সে বিষে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৫। পটকা মাছ : পটকা মাছেদের পেটটা রাবারের মতো বাড়ে বা কমে। পটকা মাছেরা পেটে পানি ঢুকিয়ে বলের মতো গোলাকৃতি হয়ে যেতে পারে। এদের শরীরেও টেট্রোডোটক্সিন নামের একটি মারাত্মক বিষ আছে। জাপানে এই মাছ সুখাদ্য বলে পরিগণিত৷ তবে অতি সাবধানে কাটতে হয়, বিষের অংশটা বাদ দিয়ে। কেননা সে’ বিষে মানুষ মরতে পারে।
৬। অ্যাঙ্গলার ফিশ বা মাছ ধরা মাছ : এই মাছের মাথায় ইলিসিয়াম নামধারী একটি আঙুলের মতো দেখতে আঁচিল আছে। সেই আঁচিলের ওপর দিকটা বাতির মতো জ্বল জ্বল করে, যা’তে হবু শিকাররা আকৃষ্ট হয়। তারপরেই সেই শিকার অ্যাঙ্গলার মাছের সুবিশাল মুখগহ্বরে ঢুকে যায়। এই মাছের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, বিশ্বের সর্বত্র এদের পাওয়া যায়, এমনকি গভীর সমুদ্রেও।
৭। ভাইপার ফিশ বা সর্প মাছ : আজগুবি মাছ দেখতে হলে যেতে হয় সাগরের অতলে৷ সেখানে জলের চাপ বেশি, আলো প্রায় নেই বললে চলে, খাবারও কম। এই পরিবেশে শিকার ফসকালে চলবে না। তাই ভাইপার ফিশদের দাঁত, মুখ, সবই ভয়ংকর, ভয়াবহ…
৮। প্লেইস বা রূপচাঁদা মাছ : চাঁদা মাছরা চ্যাপটা। তাদের ক্যামোফ্লেজ বা নিজেকে লুকনোর ক্ষমতা অসাধারণ, বিশেষ করে কাদার মধ্যে। মজার কথা: বড় হওয়ার সময় তাদের একটা চোখ মাথার এপাশ থেকে ওপাশে চলে গিয়ে অন্য চোখটির সঙ্গে যুক্ত হয়!
৯। সিহর্স ঘোড়া নয় : যদিও এই ছোট্ট মাছগুলোকে ঘোড়ার মতো দেখতে এবং এদের প্রকৃতিও অত্যন্ত নিরীহ। দ্বিতীয়ত, ‘সাগরের ঘোড়া’ নামধারী এই মাছগুলি চিৎ হয়ে নয়, খাড়া হয়ে সাঁতার কাটে – ফলে এরা খুব ভালো সাঁতারু হয় না। তৃতীয়ত, পুরুষ সিহর্সরা নিষিক্ত ডিমগুলোকে পেটের ভাঁজে বয়ে নিয়ে বেড়ায় এবং পরে বাচ্চাদের জন্মও দেয়।
১০। মাডস্কিপার বা লাফানো কাদা মাছ : মাডস্কিপাররা মাছ হলেও, তাদের জল বেশি পছন্দ, না ডাঙা বেশি পছন্দ, তা তারা কখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি। নিঃসন্দেহে মাছ হলেও, তারা পাখনা ব্যবহার করে কাদার ওপর দিয়ে হাঁটতে পারে। এছাড়া তারা অন্যান্য উভয়চরের মতো ত্বক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারে।
১১। হাতুড়ি-মাথা হাঙর : বিজ্ঞানীদের মতে হ্যামারহেড শার্কের মাথাটা হাতুড়ির মতো দেখতে হওয়ার কারণ হল, এর ফলে তার চোখ দু’টো আরো দূরে দূরে হয়। ফলে হাতুড়ি-মাথা হাঙর আরো বেশি দেখতে পায়… যেমন শিকার…