সাবধান, ভুলেও কখনো যে ৫টি স্থানে মোবাইল রাখবেন না!
কলকাতা টাইমস :
আজকের জীবনের সঙ্গে বিষয়টা খুব ভালো ভাবে জড়িয়ে। সকালে মোবাইল ফোনের অ্যালার্মে ঘুম ভাঙা থেকে ফের রাতে বালিশের পাশে মোবাইল নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুম। এমনকী ওয়াশরুমেও আজকাল ফোন নিয়ে সময় কাটানো বিচিত্র নয়।
এগুলো কমন ব্যাপার হয়ে গেছে। কিন্তু এটা জানেন কি, কোথায় মোবাইলকে সঙ্গী করা যাওয়া উচিত নয়? তে ফোনের ব্যাটারি বারোটা তো বাজবেই, ফোনেরও দফারফা হতে পারে। ক্ষতি হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের। ক্ষতি হতে পারে আপনার শরীরের।
প্যান্টের পিছনের পকেটে ফোন রাখবেন না: অনেকেই আছেন, যারা জিনসের প্যান্টের পিছনের পকেটে মোবাইল ফোন রাখতে অভ্যস্ত। আপনারও যদি এমন কোনও অভ্যেস থেকে থাকে, পরিত্যাগ করুন। পিছনের পকেটে ফোন রাখা অবস্থায় আপনি কোথাও বসে পডলে, ফোনটি শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ফোনের ব্যাটারিও যাবে। পাশাপাশি আপনারা স্বাস্থ্যের পক্ষেও এই অভ্যেস ক্ষতিকারক। কারণ, ফোনের সিগন্যালে আপনার শরীরের কোষ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই কারণে একগাদা ভারী বইয়ের নীচে ফোন রাখবেন না। বা, বইয়ের ভা্ঁজে বই রাখবেন না। ব্যাটারি বিস্ফোরণ হয়ে. বড় দুর্ঘটনাও ঘটে যাওয়া বিচিত্র নয়।
আগুনের শিখা থেকে দূরে রাখুন: অনেক মহিলাকে দেখা যায় রান্নার সময়, পাশে মোবাইল ফোনটি রাখেন। খুন্তি নাড়তে নাড়তেই মোবাইলে তারা গল্প করে চলেন। এ ধরনের অভ্যেস খুবই বিপজ্জনক। মহিলার জীবনের পক্ষে যেমন ঝুঁকির, ফোনের জন্যও ক্ষতিকারক। কোনও ভাবে অসাবধানে গ্যাস বা স্টোভের আগুনের হিট লাগলে, ফোনটি ফেটে যাবে। তাতে ফোনে থাকা যাবতীয় ডেটা শুধু নষ্ট হবে না। প্রাণহানীও হতে পারে। তাই সাবধান থাকাই ভালো।
পুলে গেলে, ফোন নয়: সুইমিং পুলে যাওয়ার সময় ফোন সঙ্গে নেওয়ার অভ্যেস থাকলে, এ বার সতর্ক হোন। একই কথা প্রযোজ্য সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার সময়েও। সূর্যের সরাসরি উত্তাপে ফোন নষ্ট হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ফোনে থাকা কিছু মেটাল বেশিক্ষণ উত্তাপে থাকলে, সক্রিয় হয়ে ফোনটির বারোটা বাজিয়ে দেবে। তাই হোটেল রুমে বা বাড়িতে ফোন রেখে বেরোনোই বুদ্ধিমানের কাজ।
হাতে গ্লাভস পরে ফোন ঘাঁটাঘাঁটি নয়: হ্যাঁ, শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এটা মাথায় রেখে চললে ভালো। হাতে গ্লাভস পরে থাকা অবস্থায় ফোনের কি-প্যাড বেশি দাবাবেন না। উলের মতো নেগেটিভলি চার্জড মেটিরিয়ালের সংস্পর্শে এলেই ফোন গরম হয়ে যায়। ব্যাটারির আয়ু কমে যাবে।
ধাতব সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন: মোবাইল ফোনের ব্যাটারি ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক বা প্যালাডিয়ামের মতো কিছু ধাতুর সংস্পর্শে এলে, তাতে ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে শর্ট সার্কিট হওয়াটাও অসম্ভব নয়।