সাবধান! নানান রূপে ভাইরাস জ্বর আবার ফিরে আসতে পারে
কলকাতা টাইমস :
এখন ভাইরাস নামটি শুনলেই যেন রক্ত হিম হয়ে আসে। কারণে করোনা ভাইরাসে নাস্তানুবাদ গোটা বিশ্ব।আগের তুলনায় এখন প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে ভাইরাস। এ কারণে প্রায়ই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনো ওষুধে কাজ হচ্ছে না। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওষুধে কাজ হলেও পরবর্তীতে তা আরও শক্তি নিয়ে ফিরে আসছে। সম্প্রতি এ ধরনের লক্ষণ দেখা গেছে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের ক্ষেত্রে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রোগের জন্য দায়ী ভাইরাসের ক্ষেত্রে বিপজ্জনকভাবে আবার ফিরে আসার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো ভাইরাস জ্বরকেও একবার সেরে যাওয়ার পর আবার ফিরে আসতে দেখা যাচ্ছে। ভাইরাস জ্বর প্রায়ই আবার ফিরে আসছে।
এ ধরনের রোগীদের অনেকেই একবার ডেঙ্গু থেকে ভালো হয়েছেন। এরপর দেখা যাচ্ছে তাদের আবার একই ধরনের আরেকটি রোগ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হতে। এ আক্রমণ ঘটতে পারে প্রথমবার ভাইরাস আক্রমণের ১৫ দিন পর। কিছু ক্ষেত্রে রোগীদের এ ধরনের রোগে চিকিৎসার পর আবার ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাস পরীক্ষায় পজেটিভ দেখা যাচ্ছে।
ভারতে সম্প্রতি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে রোগটি একবার চিকিৎসার পর আবার ফিরে আসছে। এ বিষয়টিতে সম্প্রতি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন চিকিৎসকরা। ভারতীয় চিকিৎসক হিলারি রড্রিগোস বলেন, ‘এ মাসের শুরু থেকে ভাইরাস জ্বরের আবার ফিরে আসার ঘটনাটি বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে। রোগীরা একবার আরোগ্য হয়ে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে আবার তারা এ ধরনের রোগে উচ্চমাত্রায় জ্বর ও অস্থিসন্ধীর ব্যাথায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের অনেকেই দ্বিতীয় পর্যায়ে দেহের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়া ও হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই আমি এ ধরনের যে রোগীদের দেখছি তাদের ১০০ জনের মাঝে ২০ জনই দ্বিতীয়বার এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়েছে।’
এক্ষেত্রে যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি, তারাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ভাইরাস জ্বরের প্রথম পর্যায়ের লক্ষণের মধ্যে থাকে দেহের উচ্চ তাপমাত্রা, সূক্ষ্ম র্যাশ ও সারা দেহে চুলকানি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুখের আলসার ও বিভিন্ন অস্থিসন্ধীতে ব্যথা। র্যাশ সাধারণত দেখা যায় না দ্বিতীয় পর্যায়ে। এ ধরনের রোগীদের ডেঙ্গুর মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা করলে তাদের ডেঙ্গু পরীক্ষায় নেগেটিভ পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে কারো যদি প্রথম পর্যায়ে রোগটি সেরে যাওয়ার পর আবার অসুস্থ হলে করণীয় কী? এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেন, প্রথমেই লক্ষণগুলো বুঝে নিতে হবে। রোগীর যদি উচ্চমাত্রায় জ্বর, মাথা ও দেহের ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা ও খাওয়ায় অরুচি হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ অবস্থায় রোগীর নিবিড় চিকিৎসার প্রয়োজন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে করণীয় নির্ধারণ করবেন। রোগীর অবস্থার ওপর চিকিৎসা নির্ভর করবে। তাই নিজে থেকে এ ধরনের পরিস্থিতিতে ওষুধ না খাওয়াই ভালো।