November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

প্রতিদিন ডিম খেলে এই ক্ষতিগুলির জন্য তৈরী থাকুন 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ডিমের সঙ্গে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্পর্কটা ঠিক কোথায়?
১. ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে: ডিমে নানাবিধ পুষ্টিকর উপাদানের পাশাপাশি প্রচুর মাত্রায় ক্যালরিও থাকে। তাই তো নিয়মিত দুটো ডিমের বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়ে। আর ওজন হাতের বাইরে চলে গেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না! তাই যাদের ওজন ইতিমধ্যেই একটু বেশির দিকে, তারা নিয়মিত একটা ডিমের বেশি খাবেন না যেন! আর যদি আপনার ওজন, আপনার উচ্চতার নিরিখে কম থাকে, তাহলে ইচ্ছা মতো ডিম খাওয়ার সংখ্যা বাড়ালে বা কমালে কোনও ক্ষতি হয় না।
২. ফ্যাট রয়েছে প্রচুর মাত্রায়: শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কিছু পরিমাণ ফ্যাটের প্রয়োজন হয় বৈকি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এই উপাদানের মাত্রা বেড়ে যাওয়াটা মোটেই ভাল ঘটনা। কারণ ডিমে রয়েছে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যার মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরের অনেক সময় কিছু না কিছু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে প্রকাশিত ডায়াটারি গাইডলাইন অনুসারে দৈনিক ফ্যাট থেকে ২০-৩৫ শতাংশের বেশি ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করা একেবারেই উচিত নয়। তাই বয়স যদি একটু বেশির দিকে থাকে, তাহলে দিনে দুটোর বেশি ডিম খাবেন না যেন! নচেৎ কিন্তু…!
৩. ভুলেও বেশি মাত্রায় কাঁচা ডিম খাবেন না: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কাঁচা ডিমে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে পারে। তাই তো বেশি মাত্রায় কাঁচা ডিম খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, কাঁচা ডিমে “স্যালমোনেলা” নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া যায়, যার প্রকোপে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তো বেশি মাত্রায় কাঁচা ডিম খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।
৪. অ্যালার্জির প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে: ডিমের অন্দরে এমন কিছু অ্যালার্জেন থাকে, যার প্রভাবে হঠাৎ করে অ্যালার্জির প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তো যাদের ডিম থেকে অ্যালার্জি হয়, তাদের এই খাবারটি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, ডিমের কারণে অ্যালার্জি হলে সারা শরীর লাল হয়ে যাওয়া, চোখ-মুখ ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়ারিয়া, বারে বারে বমি হওয়া, হাঁচি এবং সারা শরীরে ক্র্যাম্প লাগার মতো লক্ষণগুলি প্রকাশ পেয়ে থাকে।
৫. কিডনি ফাংশন ঠিক না থাকলে ডিম খাওয়া চলবে না: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যাদের কিডনি ঠিক মতো কাজ করে না, তাদের বেশি মাত্রায় ডিম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বাড়তে থাকলে কিডনির আরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই কারণেই যারা কোনও ধরনের রেনাল প্রবলেমে ভুগছেন, তাদের ০.৬-০.৮ গ্রামের বেশি প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করতে মানা করেন চিকিৎসকেরা। আর যেমনটা আপনাদের জানা আছে যে ডিম হল একটি প্রটোন সমৃদ্ধ খাবার। তাই এমন রোগীদের কম মাত্রায় ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিম বাস্তবিকই শরীরের উপর কিছু খারাপ প্রভাব ফেলে থাকে ঠিকই।
 কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত হারে ডিম না খেলে কিন্তু একাধিক শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন…
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি মেটায়: ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে এবং সার্বিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এই উপাদানটির ঘাটতি হওয়া কোনও সময়ই উচিত নয়। আর ঠিক এই কারণেই প্রতিদিন অন্তত দুটো করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আসলে ডিমে একটা নয়, রয়েছে একাধিক ধরনের উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যার মধ্যে অন্যতম হল লুটেইন এবং জিয়েজেন্থিন।
২. উপকারি খনিজের ঘাটতি মেটায়: নিয়মিত ডিম খেলে শরীরে আয়োডিন এবং সেলেনিয়ামের মতো বিশেষ ধরনের কিছু খনিজের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এই দুই খনিজ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৩. হার্টকে চাঙ্গা করে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ডিম খেলে শরীরে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা নানাভাবে হার্টকে এতটাই সুস্থ করে তোলে যে কোনও ধরনের হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও কমে। এখানেই শেষ নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে ডিমে উপস্থিত উপকারি উপাদানগুলি অ্যাথেরোস্কেলেরোসিস এবং ব্লাড ক্লটের আশঙ্কাও কমায়।
৪. ব্রেন পাওয়ার মারাত্মক বৃদ্ধি পায়: ডিমে উপস্থিত কোলিন নামক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু খেল দেখায় যে মস্তিষ্কের ভিতরে থাকা নিউরনরা মারাত্মক অ্যাকটিভ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের স্পিড এতটাই বেড়ে যায় যে ব্রেন পাওয়ার বাড়তে শুরু করে। সেই শঙ্গে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তিরও বিকাশ ঘঠে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু সরকারি নথি ঘেঁটে জানা গেছে আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার বেশিরবাগেরই শরীরে কোলিনের ঘাটিত রয়েছে। তাই বন্ধুরা দিনে ২ টো কেন, ৩ টে ডিম খেলেও শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না, বরং উপকার হবে।

Related Posts

Leave a Reply