প্রকৃতির আঁকা ভাস্কর্যের দেশ, টাবো
নাকো থেকে ঈগলরঙা পাহাড় আর রুক্ষতায় ভরপুর সৌন্দর্য দেখতে চলে আসুন স্পিতি উপত্যকার এক অপরূপ প্রাকৃতিক ভাস্কর্যের দেশ, টাবোয়। নাকো থেকে ইয়াংথাং। মাঝে মাঝে ছোট ছোট জনপদ। পাহাড় কখনো পিঙ্গল, কখনো কাদামাখা, কখনো ঝুরো আর আকাশ নীল, রোদের গুঁড়ো ঝরে পরে প্রতিটি আনাচকানাচে। মালিং, চাঙ্গো, সিল্কার, সুমদ-এর শোভামাখা পথ ধরে ঢুকে পড়ুন স্পিতি উপত্যকার টাবোয়।
মিথ বলছে তিব্বতের রাজা নেপালের রাজকুমারীকে বিয়ে করে এখানে আসেন। উদ্দেশ্য একটাই, বৌদ্ধধর্মের প্রসার। এর পর থেকেই এই বিস্তীর্ণ এলাকায় বৌদ্ধধর্মের প্রভাব ছড়িয়ে পরে।
যা দেখবেন: ৩০৫০ মিটার উচ্চতার পাহাড়ি জনপদে ঢুকতেই দেখা মিলবে টাবো ন্যাড়া পাহাড়ের গায়ে লেখা ‘ওম হুম মণি পদ্ম ভূষণে।’ মাঝে মাঝে সবুজের সমাহার চোখের আরাম এনে দেয়। আপেলের বাগান চোখ টানবে নিঃসন্দেহে।
বিশাল তোরণদ্বার পেরিয়ে দেখে নিন ৯৯৬ সালের শতাব্দী প্রাচীন গুম্ফা। ২৩টি চোর্তেন, ৯টি মন্দির। এর অন্দরমহলের স্টাকো ও ফ্রেস্কো চিত্রকলার অনবদ্য শোভা। ১৯৯৬ সালে প্রাচীন গুম্ফার পাশেই নতুন মনাস্ট্রি নির্মাণ করা হয়। পাহাড়ের কোলে বসান এই গুম্ফা এক অনবদ্য শিল্পশৈলীর নিদর্শন।
কোথায় থাকবেন: টাবোতে বেশ কয়েকটি হোটেল আছে যার মধ্যে বাঞ্জারা ক্যাম্পাস রিট্রিট সব থেকে বিলাসবহুল। রাতে তাপমাত্রা দিনের থেকে অনেকটাই নীচে নেমে যায়। আরো কিছু হোটেল ও হস্টেল আছে যেমন তাসি গান্সার,মেন্থক দুম্রা ইত্যাদি। তাছাড়া আছে মঠের নিজস্ব গেস্ট হাউসগুলি।
কিভাবে যাবেন: ভারত এর হিমাচল প্রদেশ এর লাহুল ও স্পিতি জেলার স্পিতি নদীর উপর একটি ছোট শহর। নাকো থেকে টাবোর দূরত্ব ৬৫ কিমি। এই শহরটি রিকং পিও ও কাজা র মাঝে অবস্থিত। কাজা থেকে রিকং পিও র বাসগুলি টাবো হয়ে যায়। বাসে চলে আসতে পারেন। তবে গাড়িতে আসাটাই ভালো। তাহলে ফেরার পথে কোনো সমস্যা হবে না।