এই কারণে মহাশূন্যে পাড়ি দিলো মানুষের ‘স্পার্ম’
কলকাতা টাইমস :
মিশন মাইক্রো-১১। এটি মঙ্গলের পরবর্তী অভিযানে নতুন পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা মতো ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন বা আইএসএস-এ মানুষের শুক্রাণু পাঠাল তারা। এই শুক্রাণু পাঠানোর পোশাকি নাম মিশন মাইক্রো-১১। মানুষ ও ষাঁড়ের শুক্রাণু ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে আইএসএস-এ পাঠানো হয়েছে।
নাসা তরফে জানানো হয়েছে, মহাকর্ষহীন অবস্থায় শুক্রাণুর মধ্যে কী কী পরিবর্তন দেখা যায়, তা খুঁটিয়ে জানতেই এই পরিকল্পনা। স্টেশনে অবস্থানকারী মহাকাশ বিজ্ঞানীরা পাঠানো শুক্রাণুকে ডিফ্রস্ট করবেন ও তাকে রাসায়নিক ভাবে সক্রিয় করে তুলবেন। এর পর মহাশূন্যে শুক্রাণুর চলন খুঁটিয়ে দেখবেন তারা। ভিডিওতে ধরেও রাখবেন সেটা। তার পর আবার ওই শুক্রাণুকে পৃথিবীতে ফেরত পাঠাবেন পরবর্তী পরীক্ষার জন্য।
তবে মহাকাশে শুক্রাণু এই প্রথম পাঠানো হচ্ছে, তা নয়। নাসার স্পেস বায়োলজি প্রোজেক্টের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ফথি কারোইয়া জানিয়েছেন, আগেও এই ধরনের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তখন দেখা গেছে মহাকর্ষ কমতে শুরু করলেই শুক্রাণুর গতি কমে যাচ্ছে।
এর আগে এমন পরীক্ষা চালানো হলেও এবারের পরীক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নাসা। দীর্ঘ সময়ে মহাকাশে থাকলে মানুষের প্রজনন ক্ষমতা কতটা প্রভাবিত হতে পারে, সে ব্যাপারটা খুঁটিয়ে জানতে পারার লক্ষ্যে এবারের মিশন।