মশারা কিন্তু বেশ নাক উঁচু, কামড়ানোর আগে শরীরের গঠন, গায়ের রং, রক্তের গ্রুপ অবশ্যই দেখে নেয়!
কলকাতা টাইমস :
হাত পেতে নিয়ে, চেটেপুটে খাই! মানুষের এই তত্ত্বে মোটেও বিশ্বাসী নয় ওরা! খানা-পিনার ব্যাপারে তারা একটু বেশিই নাক উঁচু!
মানুষের ঘামের গন্ধ বিশ্লেষণ করে তারা ঠিক করে নেয়, কে পছন্দ, কে না পছন্দ! সেই মতো তৈরি হয় মশার মেনু! রীতিমতো বাচবিছার করে!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে মানুষ কালো, মোটা এবং লম্বা, তাঁকেই ‘লাভ-বাইট’ দিতে ভালবাসে স্ত্রী মশারা! প্রিয়পাত্রের খোঁজ পেলে, বেঁটে-ফর্সা ও রোগা মানুষকে পাত্তাই দিতে চায় না তারা!
মশার এই ‘লাইক-ডিসলাইক’ নির্ভর করে রক্তের গ্রুপের ওপরেও! গবেষকদের দাবি, যাঁদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’, তুলনামূলকভাবে তাঁদেরই বেশি মশার কামড় খেতে হয়! যে সব মানুষের রক্ত ‘এবি’ ক্যাটেগরির, তাঁদের কিছুটা হলেও মশা কম কামড়ায়।
গরম কালে, ঘামের গন্ধ দূর করতে, আমরা অনেক সময়ই বডি স্প্রে ব্যবহার করি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে বিপদ আরও ডেকে আনি আমরা! সুগন্ধির টানেই আপনার শরীরকে নিশানা করে মশককূল!
বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, মত্ত মানুষদের নাকি একটু বেশিই পছন্দ করে মশারা! কারণ, মাদকাসক্ত মানুষের ঘামের সঙ্গে যে, ইথাইল অ্যালকোহল বেরোয়, সেটা মশাদের অত্যন্ত প্রিয়।
কিন্তু মশার কামড় থেকে বাঁচার উপায় কী? চিকিৎসকদের পরামর্শ, গরম কালে একাধিবার স্নান করুন। বেশি ঘাম হলে, বডি স্প্রে না দিয়ে, ভাল করে ঘাম মুছুন। শরীরের যে সব জায়গায় বেশি ঘাম হয়, সেই অংশগুলি ঢেকে রাখুন। ঘামে ভেজা খোলা শরীর নিয়ে, বাইরে বসা নৈব নৈব চ! ছেঁকে ধরবে স্ত্রী মশার দল!!