অনলাইনে কোর্স করার আগে অবশ্যই …
এখন অনেক পেশাদার কোর্স অনায়াসে করা যায় অনলাইনে। মানুষের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব কোর্সের কদর বেড়েই চলেছে। এ ধরনের কোর্সে ভর্তি হওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার—
নিজের প্রয়োজনীয়তা জানুন
আগে দিতে পারেননি এমন কোনো পরীক্ষা নতুন করে দিতে চান? নাকি একেবারে নতুন কোনো কোর্স করতে চান? আসলে কী বিষয়ে সার্টিফিকেট দরকার আপনার? নিজের প্রয়োজনটা পরিষ্কারভাবে জানুন। সাধারণত ক্যারিয়ার সংশ্লিষ্ট কোর্সই সবাই সম্পন্ন করতে চায়। আবার শখের বশেও কিছু শিখে নিতে পারেন। প্রয়োজনটা না বুঝলে আসলে পরিশ্রম ও অর্থ দুটোই জলে যাবে। আবার কোন জায়গা থেকে কোর্স করছেন তাও ঠিক করে নেবেন।
সময় আছে কি
আপনি কি শিক্ষার্থী? নাকি ফুলটাইম চাকরিজীবী? অফিস বা ক্লাস শেষ করে আর কোনো কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয় নাকি? অনলাইন কোর্সে তেমন সময় দিতে হবে না ভাবলে ভুল করছেন। এখানে কেবল ক্লাসে দৌড়ানোর ঝক্কি নেই। কিন্তু অনলাইন ক্লাস করতে হবে। পড়াশোনা করতে হবে মন দিয়ে। পরীক্ষাও দিতে হবে সময়মতো। আপনি কতটা দীর্ঘ মেয়াদের কোর্স করবেন তা ঠিক করে নিন। তার আগে দেখুন, এটার পেছনে সময় দেওয়ার সময় হবে তো?
‘অ্যানালিটিং ড্যাশবোর্ডে’ চোখ রাখুন
এই যুগে ডাটা সার্ভিস অনেক দূর চলে গেছে। উচ্চশিক্ষার জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আপনি কতটা সফল হবেন তা গভীরভাবে বুঝতে হবে। কোন বিষয়ে আপনি দুর্বল, কোথায় উন্নতি দরকার, কোথায় ভালো করছেন ইত্যাদি অনুধাবন করতে হবে। সর্বোচ্চ ফলাফল আনতে অনলাইন কোর্সে নিজের অবস্থা জানাটা সবচেয়ে জরুরি হয়ে ওঠে। এর জন্য আপনাকে ‘অ্যানালিটিং ড্যাশবোর্ড’ ঘাঁটতে হবে।
খরচ
সবার আগেই অবশ্য দেখে নিতে হবে যে কোর্স করতে যে অর্থ প্রয়োজন তার জোগান দিতে পারবেন কি না। কিংবা পয়সা থাকলেও তার বিনিময়ে কোর্সটা আপনাকে কী দেবে? আবার আপনার পুষিয়ে গেলেও সেখানে অনেক মারপ্যাঁচ থাকতে পারে। হয়তো সেখানে আলাদা করে কোর্স ফি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরো খরচ আছে। সর্বমোট খরচটা জেনে নিতে হবে। নয়তো পরে ঝামেলায় পড়তে পারেন। অনেকেই একেবারে কম খরচে কোর্সের সন্ধান পেয়ে সেখানে ফি দিয়ে দেন। কিন্তু পরে ভুলটা বুঝতে পারেন। লুকানো খরচের কথা আগে না জানলে এমনটাই হয়।