বিস্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কের …আসেই না
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
আমরা মানুষরা বড্ডো স্বার্থপর। প্রয়োজন ছাড়া কিছুই করি না। ঈশ্বরকে স্মরণও না। যারা প্রয়োজন ছাড়াও ঈশ্বরকে স্মরণ করেন তাদের অন্ধবিশ্বাসী বলতেও ছাড়ি না। কিন্তু জানেন কি শুধু শাস্ত্র নয় বিজ্ঞানও বলছে নিয়মিত মন্দিরে গেলে মন মস্তিষ্ক দুইই হয়ে উঠবে সেরা। সম্প্রতি একদল আমেরিকান গবেষক প্রমাণ করেছেন মন্দিরে গেলে যে শুধু আধ্যাত্মিক বিকাশ ঘটে, এমন নয়। সেই সঙ্গে শরীরেরও উন্নতি ঘটে। ভাবছেন মন্দিরের সঙ্গে আবার শরীরের কী সম্পর্ক? আসুন জানাই তাহলে –
যে কোনও কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা : আজকের দুনিয়ায় স্ট্রেস বা মানসিক চাপ, কতটা ভয়ঙ্কর তার ধারণা সকলেরই আছে। গত এক দশকে যে যে রোগের প্রকোপে সারা বিশ্বজুড়ে সব থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেগুলির সবকটির সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণা বলছে প্রতিদিন কিছুটা সময় মন্দিরে কাটাতে পারলে স্ট্রেসের নাম গন্ধও খুঁজে পাওয়া যায় না। আসলে মন্দিরের শান্ত পরিবেশ আমাদের শরীর এবং মনকে ঠান্ডা করে। ফলে বেশ কিছু ক্ষতিকর হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসার কারণে ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ কমতে শুরু করে। মনের জোর এমন চরমে পৌঁছায় যে, যে কোনও কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা এসে যায়।
যে কোনও কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা : আজকের দুনিয়ায় স্ট্রেস বা মানসিক চাপ, কতটা ভয়ঙ্কর তার ধারণা সকলেরই আছে। গত এক দশকে যে যে রোগের প্রকোপে সারা বিশ্বজুড়ে সব থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেগুলির সবকটির সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণা বলছে প্রতিদিন কিছুটা সময় মন্দিরে কাটাতে পারলে স্ট্রেসের নাম গন্ধও খুঁজে পাওয়া যায় না। আসলে মন্দিরের শান্ত পরিবেশ আমাদের শরীর এবং মনকে ঠান্ডা করে। ফলে বেশ কিছু ক্ষতিকর হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসার কারণে ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ কমতে শুরু করে। মনের জোর এমন চরমে পৌঁছায় যে, যে কোনও কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা এসে যায়।
বাস্তুশাস্ত্রের গুণ: মন্দির সব সময়ই বাস্তুশাস্ত্র মেনে তৈরি করা হয়। ফলে এমন জায়গায় কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তো থাকেই না। বরং স্থানগুণে শরীর এবং মনের বিকাশ ঘটে। একানেই শেষ নয়, এবার থেকে মন্দির গেলে খেয়াল করবেন বিগ্রহ সব সময় মন্দিরের চূড়ার নিচে থাকে। এমনটা হওয়ার কারণে প্রার্থনার সময় মন্দির জুড়ে সেই প্রার্থনার গুঞ্জন ইকো হতে থাকে, ফলে তার সুপ্রভাব পরে মনের উপর।
সংক্রমনেই আশংকা কমে : শঙ্খ বাজালে যেমন আশেপাশে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষতিকর জীবাণুরা মারা যায়। ঠিক তেমনি মন্দিরের ঘন্টার আওয়াজে জীবাণুরা মারা যেতে থাকে। ফলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
মনের জোর বাড়ে: বিশ্বাসের জন্ম দেয় ভগবান। আমরা ভগবানের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ইচ্ছার কথা বলতে থাকি। সেই সঙ্গে এও বিশ্বাস তৈরি হয় যে ভগবান আমাদের ইচ্ছা পূরণ করবে। আসলে সে সময় আমাদের অন্দরেই ইচ্ছা পূরণের শক্তি তৈরি হতে শুরু করে, যার বলে নিজেদের অজান্তে কখন যে আমরা লক্ষের দিকে এগিয়ে চলি, তা বুঝতেও পারি না। আর যখন ইচ্ছা পূরণ হয়, তখন আমাদের মনে করি ভগবান আমাদের সাহায্য করেছেন। আসলে কিন্তু আমরাই আমাদের সাহায্য করে থাকি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বাড়ে : মন্দিরে প্রবেশ করার সময় আমাদের খালি পায়ে থাকতে হয়। সে সময় পায়ের তলায় থাকা কিছু প্রেসার পয়েন্টে চাপ পরে, যেমনটা আকুপাঞ্চারের সময় হয়ে থাকে। এই চাপ পরার কারণে শরীরের প্রতিটি কোনায় রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। আর হাত জোর করে প্রার্থনা করার সময় হাতের তালুতে ঘর্ষণ হওয়ার কারণে মন এবং শরীরের ক্লান্তি দূর।
চরণামৃতের শক্তি: খেয়াল করে দেখবেন বড়-ছোট প্রায় সব মন্দিরেই তামার পাত্রে রাখা থাকে চরণামৃত। আর তাতে ভাসতে থাকে তুলসি পাতা। আয়ুর্বেদ মতে এমন পানীয় খেলে তামার গুণে শরীরের নানাবিধ উপকার তো হয়ই। সেই সঙ্গে তুলসি পাতা খাওয়ার কারণে স্বাদ গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, সর্বোপরি হার্ট এবং কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে।
সংক্রমনেই আশংকা কমে : শঙ্খ বাজালে যেমন আশেপাশে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষতিকর জীবাণুরা মারা যায়। ঠিক তেমনি মন্দিরের ঘন্টার আওয়াজে জীবাণুরা মারা যেতে থাকে। ফলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
মনের জোর বাড়ে: বিশ্বাসের জন্ম দেয় ভগবান। আমরা ভগবানের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ইচ্ছার কথা বলতে থাকি। সেই সঙ্গে এও বিশ্বাস তৈরি হয় যে ভগবান আমাদের ইচ্ছা পূরণ করবে। আসলে সে সময় আমাদের অন্দরেই ইচ্ছা পূরণের শক্তি তৈরি হতে শুরু করে, যার বলে নিজেদের অজান্তে কখন যে আমরা লক্ষের দিকে এগিয়ে চলি, তা বুঝতেও পারি না। আর যখন ইচ্ছা পূরণ হয়, তখন আমাদের মনে করি ভগবান আমাদের সাহায্য করেছেন। আসলে কিন্তু আমরাই আমাদের সাহায্য করে থাকি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বাড়ে : মন্দিরে প্রবেশ করার সময় আমাদের খালি পায়ে থাকতে হয়। সে সময় পায়ের তলায় থাকা কিছু প্রেসার পয়েন্টে চাপ পরে, যেমনটা আকুপাঞ্চারের সময় হয়ে থাকে। এই চাপ পরার কারণে শরীরের প্রতিটি কোনায় রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। আর হাত জোর করে প্রার্থনা করার সময় হাতের তালুতে ঘর্ষণ হওয়ার কারণে মন এবং শরীরের ক্লান্তি দূর।
চরণামৃতের শক্তি: খেয়াল করে দেখবেন বড়-ছোট প্রায় সব মন্দিরেই তামার পাত্রে রাখা থাকে চরণামৃত। আর তাতে ভাসতে থাকে তুলসি পাতা। আয়ুর্বেদ মতে এমন পানীয় খেলে তামার গুণে শরীরের নানাবিধ উপকার তো হয়ই। সেই সঙ্গে তুলসি পাতা খাওয়ার কারণে স্বাদ গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, সর্বোপরি হার্ট এবং কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে।