নিমেষে হাঁপানি কমাতে এই ভেষজ চা এর বিকল্প নেই
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
সমস্ত কঠিন রোগের মতোই হাঁপানি বা অ্যাজমা খুবই কষ্টদায়ক একটি অসুখ। এই রোগের ফলে দেখা দেয় তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা। বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে হাঁপানিকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও, এই রোগকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। যেকোনও বয়সেই হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে, তবে বাচ্চাদের এই রোগ হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
তীব্র শ্বাসকষ্টযুক্ত হাঁপানি রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে কিছুটা ধাতে আনতে চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। তবে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই অসুখ থেকে স্বস্তি পেতে ওষুধের পরিবর্তে কিছু ভেষজ চা ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্ত ভেষজ চা সাময়িকভাবে আপনাকে হাঁপানি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। চলুন তবে জেনে নিন সেই চা গুলি কী কী
১ গ্রিন টি : গ্রিন টি গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারী উদ্ভিজ্জ যৌগ গুলির দ্বারা পরিপূর্ণ, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্রিন টি তে থাকা Epigallocatechin Gallate (EGCG) নামক উদ্ভিজ্জ যৌগ থাকে। এটি ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা ক্যাফেইন হাঁপানি রোগ উপশম করতে পারে।
1কাপ ফুটন্ত গরম জলে 1 চা-চামচ গ্রিন টি পাতা যোগ করুন। এরপর চাপা দিয়ে রেখে দিন ৫ মিনিট। এবার ছেঁকে নিয়ে সেই চা পান করুন।
২) আদা চা : একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, আদায় থাকা প্রয়োজনীয় উপাদান হাঁপানি রোগীদের লক্ষণগুলি কার্যকরভাবে হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই হাঁপানির লক্ষণ দেখা দিলে খেতে পারেন আদার চা। এক কাপ ফুটন্ত জলে এক চা চামচ আদা বাটা যোগ করে ফুটিয়ে নিন। এবার ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
৩) ইউক্যালিপটাস চা : ইউক্যালিপটাস গাছ ঔষধি গুনাগুণ এর জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই গাছের পাতাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কিছু উদ্ভিজ্জ যৌগ রয়েছে, যা হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইউক্যালিপটলের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য হাঁপানির লক্ষণগুলি হ্রাস করতে সহায়তা করে। এক কাপ ফুটন্ত জলে এক চা চামচ শুকনো ইউক্যালিপটাস পাতা যোগ করুন। পাঁচ মিনিট ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার ছেঁকে নিয়ে সেই চা পান করুন।
৪) যষ্টিমধুর চা : যষ্টিমধুর চা যষ্টিমধু গাছের মূল থেকে তৈরি হয়। এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, যষ্টিমধুর চা সাময়িকভাবে হাঁপানির লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। তবে গবেষকরা জানাচ্ছেন লক্ষণ বৃদ্ধি পেলে যষ্টিমধু কতটা কার্যকরী হবে তা নির্ণয় করার ক্ষেত্রে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এক কাপ জলে এক চামচ শুকনো যষ্টিমধু দিয়ে দিন। সেই জল পাঁচ মিনিট ধরে ভালো করে ফোটাতে থাকুন। তারপর সেই জল ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
মনে রাখবেন এই সমস্ত চা কিন্তু অল্পমাত্রার হাঁপানির লক্ষণ এর ক্ষেত্রে কার্যকর। যখনই লক্ষণগুলি বেশি মাত্রায় দেখা দেবে এবং শারীরিক কষ্ট বৃদ্ধি পাবে, দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।