November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular সফর

কাছাকাছি ঘুরতে পাথরা গ্রাম সর্বোৎকৃষ্ট 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মেদিনীপুর শহর থেকে দশ কিলোমিটার দূরে কংসাবতী নদীর তীরে অবস্থিত পাথরা গ্রামকে রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরা হচ্ছে। এই গ্রামে এক জায়গাতে পাশাপাশি অনেক গুলি মন্দির ও স্থাপত্য আছে। তাই এই গ্রামকে মন্দিরময় পাথরা বলা হয়। ২০০৩ সালে এই মন্দিরগুলি অধিগ্রহণ করে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ। এই গ্রামে ৩৪ টি মন্দির ছিল । কিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ২৪টি মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে।

এই গ্রাম ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হলেও জমি নিয়ে জটিলতার কারণে এই কাজ করা যায়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক রশ্মি কমল জানিয়েছেন যে আগেই পাথরা গ্রামকে রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হলেও জমি নিয়ে জটিলতার কারণে সেই কাজ শুরু হতে পারেনি। এখন জটিলতা কাটিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। এই জন্য পর্যটন দপ্তর দু কোটি টাকা দিয়েছে। প্রশাসনের আশা ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করা যাবে। তবে গ্রামের লোকজনদের দাবি যে তাদের কাছে থেকে জমি নেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা সেই জমির দাম পাননি।

এই কথা মেনে নিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি জানান যে এই নিয়ে তারা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগে চিঠি দিয়েছেন। কংসাবতী নদীর তীরে অবস্থিত পাথরা গ্রামে অনেক মানুষ এখন ঘুরতে আসেন। কিন্তু প্রযোজনীয় পরিকাঠামো না থাকায় তাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। কাজ সম্পূর্ণ হলে তাদের আর সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না। বহু পুরানো এই গ্রাম। গুপ্ত যুগে যখন তাম্রলিপ্ত বন্দরের রমরমা সেই সময়ে এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল।

১৯৬১ সালে মাটি খনন করে পাওয়া যায় বিশাল আকারের বিষ্ণু লোকেশ্বর মূর্তি। ১৭৩২ সালে এই এলাকার খাজনা আদায় করার জন্য আলিবর্দি খাঁ নিয়োগ করেন বিদ্যানন্দ ঘোষালকে। তিনি এই এলাকায় এই মন্দিরগুলি প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক মন্দির ও স্থাপত্য নষ্ট হয়ে যায়। পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই মন্দিরগুলি অধিগ্রহণ করে সংস্কার করে। এবার এই জায়গা ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Related Posts

Leave a Reply