সাবধান, যেচে ছুতে এসে সেকেন্ডে প্রাণ নেয় রাসেল ভাইপার
কলকাতা টাইমস :
আমরা জানি সাপ মানুষকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। কিন্তু এ সাপটির স্বভাব ঠিক তার উল্টো, নিজে থেকে ছুটে এসে আক্রমণ করে এই বিষধর সাপটি। দাঁত অনেক গভীর ও সূঁচালো। বিষ প্রয়োগে সময় নেয় এক সেকেন্ডেরও কম। কোনো এন্টিভেনম নেই। সাপটির বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়; ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।
অন্যান্য সাপ যেখানে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০টি ডিম পাড়ে, সেখানে এই সাপটি ডিম তো পাড়েই না বরং একসঙ্গে ৬০ থেকে ৮০টি বাচ্চা ফুটায়!
এদের দেহ মোটাসোটা, লেজ ছোট ও সরু। এরা নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত পরিবেশ ছাড়াও এরা কিছুটা শুষ্ক পরিবেশেও বাস করে। এরা নিশাচর, এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ খেয়ে থাকে। এরা প্রচণ্ড জোরে হিস হিস শব্দ করতে পারে।
পৃথিবীতে প্রতিবছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এই সাপের কামড়ে মারা যায়। এদের বিষদাঁত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃহৎ। এই সাপ কামড় দিলে মানুষের মাংস পচে যায়।
অন্যান্য সাপ শিকারের সময় শিকারকে কামড় দিয়ে সাথে সাথে খেয়ে ফেলে কিন্তু হিংস্র এই সাপটি শিকারকে শুধু একা নয়, তার পুরো পরিবারসহ খেতে ভালোবাসে। তাই অন্যান্য সাপ যেমন একটি ইঁদুরকে কামড় দিয়ে সাথে সাথে খেয়ে ফেলে, এটি সে ক্ষেত্রে কামড় দিয়ে ছেড়ে দেয়। প্রচণ্ড বিষের যন্ত্রণায় ইঁদুর যখন তার গর্তের দিকে ছুটে চলে তখন এই সাপটি তার পিছু পিছু গিয়ে সে গর্তে ঢুকে সব ইঁদুরকে খেয়ে ফেলে। বিশেষ করে নদীর অববাহিকায় এবং চর এলাকায় এখন এই সাপটির জন্য উপযুক্ত বংশবৃদ্ধির স্থান।
সাপটির নাম রাসেল ভাইপার। যেটিকে চন্দ্রবোড়া বা উলু বোড়াও বলা হয়।