November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

খান-খান করা হল ভারতরত্ন বিসমিল্লাহ খানের বাড়ি-মহামূল্যবান স্মৃতিচিহ্ন  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ভারতরত্ন ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ২১ আগস্ট। এর আগেই বিসমিল্লাহ খানের বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলেছেন তার আত্মীয়রা।

হাদহা সরাইয়ের ওই বাড়িটি ছিল তার খুব প্রিয় জায়গা। ওই বাড়ির দোতলায় তিনি প্রতিদিন রেওয়াজ করতেন। ওই বাড়ি কখনও ছাড়তেও পারেননি তিনি। আমেরিকায় বসবাসের জন্য জায়গা ও বাড়ি দেওয়ার প্রস্তাব এলেও তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন

এই বাড়িতেই তিনি শান্তির খোঁজ পেতেন। কিন্তু তার রেওয়াজের ঘরটি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দোতলা বাড়ির ওপরের অংশটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির সদস্যরা বলছেন, এটি ভেঙে একটি বিশাল কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স তৈরি হবে।

২০০৬ সালে ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান মারা যাওয়ার পর তার শিষ্য ও ভক্তরা ওই বাড়িটিকে একটি মিউজিয়াম করার আবেদন জানিয়েছিলেন। তার স্মরণে একটি সংগ্রহশালা তৈরি এবং বিভিন্ন স্মারক প্রদর্শনের দাবি হয়েছিল।

সানাইয়ের মতো একটি ‘সাধারণ’ যন্ত্রকে মার্গসঙ্গীতের স্তরে উন্নীত করে পূর্ণ অবয়ব দেওয়ায় ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের অবদান সর্বজনস্বীকৃত। তার স্মৃতিতেই বাড়িটিকে হেরিটেজের সম্মান দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু এতদিনে কেউই এ বিষয়ে এগিয়ে আসেননি। না রাজ্য সরকার, না কেন্দ্রীয় সরকার।

বিসমিল্লাহ খানের পালিত কন্যা ও সঙ্গীতশিল্পী সোমা ঘোষ এই ঘটনার পর বিরক্তি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বাবার ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এটা শোনার পরই আমি ভেঙে পড়েছি। খুব অবাক হয়েছি। ভেঙে ফেলার পর তার মহামূল্যবান জিনিসপত্রগুলোও ফেলে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘরটি শুধুমাত্র একটি ঘর ছিল না। সঙ্গীত অনুরাগীদের জন্য উপাসনার একটি পবিত্র স্থান ছিল।

তার মতে, ভারতে তার এই ঘরের একটি ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। তার সব জিনিসপত্র সংরক্ষিত করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

১৯৬৩ সালে হাদহা সরাইয়ের ভিক্ষমশাহ লেনের এই বাড়িটি কেনেন বিসমিল্লাহ খান। দোতলা বাড়ির উপরের একটি ঘরে তিনি থাকতেন। গত ১২ আগস্ট ওই ঘরটি প্রথম ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

ভারত যেদিন স্বাধীনতার স্বাদ পেল, সেদিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমন্ত্রণে রেড ফোর্টে সানাই বাজিয়েছিলেন খান সাহেব। তিনি বারবার বুঝিয়েছেন, সুরের যেমন কোনও ধর্ম হয় না, তেমনি শিল্পীরও কোনও ধর্ম হয় না। এমন ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে জডিয়ে ছিলেন এই শিল্পী।  স্বাধীনতা দিবসের দিন যে সানাই বাজিয়েছিলেন, সেই সানাইও নাকি বাড়ি ভেঙে ফেলার সময় নষ্ট হয়ে গেছে।

Related Posts

Leave a Reply