ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে মমতার থেকে অভিষেক যা বললেন, তা চমকে দেওয়ার মতো

বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতার সুরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “লোকসভা ভোটের পর থেকে বিধানসভা, এই আট মাসে দিল্লিতে নতুন করে ৪ লাখ লোকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এটা আমাদের জেনুইন বলে মনে হয়নি। অতীতে বাংলাতেও এই চেষ্টা হয়েছিল। আবারও হচ্ছে।”
দিল্লিতে আপের পরাজয় নিয়ে অভিষেক বলেন, ২৩ সালে অডিন্যান্স জারি করে দিল্লির সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল কেন্দ্র। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রী-সহ একাধিক মন্ত্রীকে জেলে ভরে সরকারের উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিয়েছিল বিজেপি। আমআদমি পার্টির উচিত ছিল, রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে সঠিক তথ্যটা তুলে ধরা। ওরা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আশা করব, এই ব্যর্থতা থেকে ওরা শিক্ষা নেবে।
এরপরই বাংলার প্রসঙ্গ টেনে এনে অভিষেক বলেন, “একইভাবে বাংলার বরাদ্দ অর্থ আটকে রেখে বাংলা দখলের চেষ্টা করেছিল কেন্দ্র। মনরেগা (১০০ দিনের কাজ) নিয়ে বাংলায় প্রচারে এসে বিজেপির নেতারা বলেছিল, আমরা টাকা তো দিয়ে দিয়েছি। ওরা মিথ্যে কথা বলেছিল। আমরা ৫০ লক্ষ মানুষের কাছে গিয়ে বুঝিয়েছি, টাকা আমরা আটকে রাখিনি দিল্লি আটকে রেখেছে। গরিব মানুষের আটকে রাখা টাকা আদায়ে দিল্লিও গিয়েছিলাম। মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। সেকারণেই বাংলায় বিজেপির চক্রান্ত সফল হয়নি। ওরা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আপ দিল্লিতে মানুষের কাছে বিজেপির এই চক্রান্ত বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে।”
গত বিধানসভা ভোটে বাংলায় দুশো পারের স্লোগান তুলেছিল পদ্ম শিবির। বাস্তবে তা হয়নি। লোকসভাতেও বিজেপির ৩০টি আসন দখলের টার্গেট ব্যর্থ হয়। একথা মনে করিয়ে অভিষেক বলেন, “গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা। বাংলার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে বলেই বিজেপির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা সম্ভব হয়েছে।” এরপরই মমতার সুরে অভিষেক জানিয়ে দেন, গতবারের মতো আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও বাংলায় তৃণমূল একাই লড়বে।