এই চার হাতে বিপদ সংকেত পদ্মের
কলকাতা টাইমস :
বিজেপির কাছে ভোটে আগে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন অশোক গহলৌত ও সচিন পাইলটের ফের সখ্যতা। রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিবদমান অশোক গহলৌত ও সচিন পাইলটের প্রকাশ্যে সন্ধির বার্তা দলের কাজ কঠিন করে দিল বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজস্থানে গত পাঁচ বছর ধরে গহলৌত এবং পাইলটের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। কারণ মরু রাজ্যে গত ২৫ বছর ধরে কংগ্রেস বা বিজেপি পর পর দু’বার ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। এ বারে সেই ধারা পাল্টাতে মরিয়া কংগ্রেস নেতৃত্ব। ভোটের আগে তা মেটাতে সক্রিয় কংগ্রেস হাইকমান্ড। দু’দিন আগেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে পাইলটকে। বুধবার রাজস্থানের টঙ্ক এলাকায় জনসভা করেন তিনি। সেখানে পাইলটের ছবির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের ছবিও ছিল। রাজ্যের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বিবাদ যে আর নেই— সেই বার্তা দিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের ওই উদ্যোগ। গহলৌতের সঙ্গে তাঁর বিবাদ যে অতীত তা বুঝিয়ে দিয়ে পাইলট সভায় বলেন, ‘রাজস্থানে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন রাজ্যে তাঁদের দলকে জাগানোর চেষ্টা করছেন, তখন রাজ্য নেতৃত্ব ঘুমিয়ে।’
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মানছেন যে রাজস্থানে দল নানা গোষ্ঠীতে বিভক্ত। ভোটের আগে কোনও গোষ্ঠী যাতে নিষ্ক্রিয় হয়ে না যায়, তাই প্রধানমন্ত্রীকে প্রচারের ‘মুখ’ করে লড়ার কথা ভাবা হয়েছে। দলকে এক জোট করতে সেপ্টেম্বরের ২, ৩ ও ৪ তারিখে রাজ্যের চার প্রান্ত থেকে পরিবর্তন যাত্রা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। যা শেষ হবে জয়পুরে ২৫ সেপ্টেম্বরে। ওই দিন সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে মেগা জনসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে দল। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর সোয়াই মাধেপুর এলাকার ত্রিনেত্র গণেশ মন্দির থেকে যাত্রার সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাণেশ্বর ধাম থেকে দ্বিতীয় যাত্রার সূচনার দায়িত্বে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। তৃতীয় যাত্রার সূচনা করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জয়সলমের সংলগ্ন রামদেওড়া থেকে। হনুমানগড়ের গোগামেডি থেকে চতুর্থ যাত্রাটিকে সবুজ সঙ্কেত দেখাবেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।