পশ্চিমবঙ্গে ঘরশূন্য হচ্ছে না তো ? দলবদলুদের নিয়ে মাথায় হাত বিজেপির
তবে জয় পেয়েছেন তাদের মধ্যে মাত্র পাঁচ জন। কিন্তু যারা জিততে পারেননি তারা কি এখনো বিজেপি-তে থেকে যাবেন? আর যাঁদের দলে নিলেও বিজেপি প্রার্থী করেনি তারাই বা কী করবেন?
এরই মধ্যে এমন পাঁচ জন পাকাপাকিভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের দিয়ে পা বাড়িয়েছেন। কিন্তু যারা এখনো রয়েছেন, তাদের তালিকা নিয়েও চিন্তিত বিজেপি। কে থাকবেন আর কে থাকবেন না, এই ভাবনা চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
কারণ, বেশ কয়েকজন এরই মধ্যেই দলের সঙ্গে দূরত্ব গড়ে বেসুরো গাইছেন। আবার কয়েকজনের বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ নেই।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয় পেয়েছিল তিনটি আসনে। খড়্গপুর সদর, বৈষ্ণবনগর এবং মাদারিহাটে। এর মধ্যে আবার দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর থেকে সাংসদ হয়ে যাওয়ার পরে একটি আসন কমে যায়।
উপ-নির্বাচনে খড়্গপুর সদরে জিতেছিল তৃণমূল। তবে ভাটপাড়া, দার্জিলিং, কৃষ্ণগঞ্জ এবং হাবিবপুরে উপ-নির্বাচনে জয় পায় বিজেপি। সেই হিসেব ধরলে আগের বিধানসভায় বিজেপি-র টিকিটে জেতা বিধায়কের সংখ্যা ছিল ছয়।
সেই সঙ্গে বিভিন্ন দল থেকে বিজেপি-তে আসেন ৩৩ জন। সেই জোরেই গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সঙ্গে ৩৯ জন বিধায়ক রয়েছেন বলে গেরুয়া শিবিরের দাবি ছিল। যদিও শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন।
ভোটের ফল ঘোষণার পর প্রাক্তন বিধায়ক সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, বাচ্চু হাঁসদা, অমল আচার্য, শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়ে দিয়েছেন। আগেই বিজেপি ছেড়েছেন লাভপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে আসা তেহট্টের প্রাক্তন বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্তের।
বাকিদের তালিকা নিয়ে চিন্তিত বিজেপি হিসেব কষছে কারা থাকতে পারেন, কারা নয়। ভোটের আগে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া শিবপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ি ফল ঘোষণার পরে আর সেভাবে বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না বলেই দাবি দলের।
যদিও জটু জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি-তেই থাকছেন। অন্য যে যা ভাবে ভাবুক তিনি তৃণমূলে ফিরতে চান না।