নেতৃত্বে নেই ভরসা, প্রার্থী বাঁচতে পাড়ায়-পাড়ায় ঘুরবে ভিন রাজ্যের ৩৫০ বিধায়ক
কলকাতা টাইমস : যে রাজ্যের প্রার্থী বাছতে হবে সেই রাজ্যের নেতৃত্বে ভরসা না রেখে ভিনরাজ্যে ৩৫০ বিধায়কের সার্ভে টিম বাছল বিজেপি শিবির। ছত্তীসগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামের আসন্ন বিধানসভা ভোটে পদ্ম শিবিরের প্রার্থী বাছাইয়ে ভিন রাজ্যের সাড়ে তিনশো বিধায়ককে দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। এই বিধায়কেরা একদম গ্রাস রুট থেকে প্রার্থী বাঁচার কাজ করবে। অর্থাৎ এই সার্ভে টিম পাঁচ রাজ্যে গিয়ে বিধানসভা ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। বোঝার চেষ্টা করবেন আসন্ন ভোটে কাকে প্রার্থী করা যায়। তবে বিজেপি সূত্রে খবর নতুনদের প্রাধান্য দিতেই বলা হয়েছে এই টিমকে।
বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে । দলের বক্তব্য, প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। আলাদা করে দল পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা ইতিমধ্যে করিয়েছে। দলের বিধায়কেরা দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আলাদা সমীক্ষা করবেন। দুই রিপোর্টের ভিত্তিতে ঠিক হবে বর্তমান বিধায়কদের মধ্যে কতজন টিকিট পাবেন। সাধারণভাবে কথা হয়েছে, নির্ভরযোগ্য পুরনোদের রেখে বাকি আসনে নতুন মুখ আনা হবে।
যে বিধায়কেরা সমীক্ষা চালাবেন তাঁদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ থেকে ১৬০জন, গুজরাত ও বিহার থেকে ১৫০জন এবং বাকিদের মহারাষ্ট্র থেকে নেওয়া হয়েছে। তবে ময়দানে নামানোর আগে শুক্রবার তাঁদের ভুপালে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকা হয়েছে। সেখানে দলীয় নেতৃত্ব বুঝিয়ে দেবেন কীভাবে সমীক্ষার কাজ করতে হবে।
দলীয় সূত্রের খবর, বুধবারের বৈঠকে পাঁচ রাজ্যের ভোট নিয়ে আলোচনায় দলের নানা দুর্বলতা উঠে এসেছে। রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি যথেষ্ট লড়াই করতে পারছে না বলে একাধিক নেতা অভিমত ব্যক্ত করেন। তাতে সায় দেন প্রধানমন্ত্রী। এই দুই রাজ্যে বিজেপির গোষ্ঠী বিবাদও দলকে চিন্তায় রেখেছে। বিশেষ করে রাজস্থানে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে প্রবল চাপ তৈরি করেছেন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হোক। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঁচ রাজ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সামনে রেখেই দল লড়াই করবে। মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে কাউকে তুলে ধরা হবে না।
তেলেঙ্গানায় পার্টির বরাবরের সমস্যা গৃহ বিবাদ। সেখানে বিজেপি প্রাক্তন বিআরএস নেতা এতেলা রাজেন্দরকে দলে নিয়েছে। তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয়ের অনুগামীরা। সঞ্জয়কে রাজ্য থেকে সরিয়ে সর্ব ভারতীয় কর্মসমিতিতে নেওয়া হয়েছে। তাতে দলের ক্ষতি হয়েছে বলে একাংশের মত।