রাম ভুলে এবার দূর্গা-কালীর শরণাপন্ন বিজেপি
কলকাতা টাইমস :
‘জয় শ্রী রাম’এই অভ্যস্ত তারা। কিন্তু বাংলা কালী কলকত্তাওয়ালির জায়গা বলে কথা। সেখানে রাম বিজেপিকে শক্ত মাটি দিতে পারছে না। তাই বাংলার মানুষের মন ছুঁতে দূর্গা-কালিকেই এবার গুরুত্ব দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় ‘জয় মা দুর্গা’, ‘জয় মা কালী’ বলেই জয়ধ্বনি দেওয়ার কথা ভাবছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গো-বলয়ের রাজনীতির ধারা যে বাংলা ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সেভাবে কার্যকরী নয়, তা বুঝতে পেরেই কৌশল বদলাতে চাইছে বিজেপি।
বঙ্গে বিজেপি যে খুব শক্ত মাটিতে দাঁড়িয়ে নেই তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও খুব ভালো করে জানে। আর সেই জানাটাই বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির বৈঠকে। এদিন ১২টি রাজ্যের ১৪২টি লোকসভা আসন নিয়ে এদিনের বৈঠক আলোচনা হয়েছে। মধ্য ভারতের ১৪টি রাজ্যের নেতাদের নিয়ে আজ, শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে বৈঠক হবে।উত্তর-পূর্ব ও পূর্বের ১২টি রাজ্যের নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে লোকসভার প্রস্তুতি সেরেছেন দলের সর্বভারতীয় সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। বৈঠকে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব আমন্ত্রিত হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কেউই হাজির ছিলেন না। তবে কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডের পাশাপাশি সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বাংলা নিয়ে আলোচনার সময় বঙ্গ বিজেপিকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে বলেই পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এদিনের বৈঠকে অনুপমই বলেন যে, রামের চেয়ে ভগবান হিসাবে বাংলার মানুষ ‘দুর্গা’ বা ‘মা কালী’তেই বেশি বিশ্বাসী। উদাহরণ হিসেবে বাঙালিরা বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে ‘দুর্গা নাম’ স্মরণ করেন বলে উল্লেখ করেন। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বদের এদিন ‘সন্ত্রাস’ অভিযোগ না করে সংগঠন তৈরি করে তা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। বুথ স্তরে সংগঠন মজবুত করতে হবে বলেই বঙ্গ বিজেপিকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর,
‘জয় শ্রী রাম’ থাকলেও পাশাপাশি জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী এই স্লোগান ব্যবহার করলে ভাল ফল মিলবে বলে প্রস্তাব দেন। জানা গিয়েছে, তা পছন্দ হয়েছে সন্তোষের। তিনি বৈঠকের মধ্যেই বনশলকে প্রস্তাবটি নোট করে রাখতে বলেন।