November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

নিজের রক্তের গ্রূপ দেখেই খাওয়া-দাওয়া করছেন তো?

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মরা কতদিন সুস্থ ভাবে বাঁচব, কোন কোন রোগ আমাদের শরীরকে বেশি ভোগাবে, এমনকী কী কী খাবার আমাদের খাওয়া উচিত আর কী কী নয়, এই সবই নির্ভর করে আমাদের রক্তের বিভাগের উপর। একেবারে ঠিক শুনেছেন।

আমরা যা ইচ্ছা তাই খেয়ে ফেললেও বিজ্ঞান বলে রক্তের বিভাগ অনুসারে না খেলে শরীর একেবারেই সুস্থ থাকে না। মানে? রক্তের বিভাগের সঙ্গে খাবারের কী সম্পর্ক? সহজ ভাবে বললে সবার সব ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিভাগ অনুসার যার রক্ত, যে যে খাবারগুলিকে গ্রহণ করতে পারে, কেবল সেই ধরনের খাবার খেলেই শরীর সুস্থ থাকে। অর্থাৎ “এ” বিভাগের রক্ত যাদের শরীরে বইছে তারা যে ধরনের খাবার খেতে পারবেন, “বি” বিভাগের রক্ত যাদের, তারা কিন্তু সেই সব খাবার একেবারেই খাবেন না।

এই বিশেষ ধরনের ডায়েট প্ল্যানকে চিকিৎসকেরা ব্লাড গ্রউপ ডায়েট (blood group diet) নামে ডেকে থাকেন। প্রসঙ্গত, বিখ্যাত নেচ্যারোপ্যাথ পিটার জে. ডি অ্যাডামো এই বিশেষ ডায়েট প্রণালিটি আবিষ্কার করেছিলেন। তার মতানুসারে আমরা খাবার খাওয়া মাত্র সেই খাদ্যটি রক্তের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে শুরু করে। তাই তো ব্লাড গ্রউপ অনুসারে খাবার না খেলে শরীরের অন্দরে ভুল বিক্রিয়া হতে শুরু করে। ফলে দেখা দেয় হাজারো সমস্যা। যার মধ্যে অন্যতম হল, বদহজন, ওজন বৃদ্ধি, মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তি প্রভৃতি।

আসলে প্রতিটি খাবারেই ল্যাকটিন নামে এক ধরনের প্রোটিন থাকে, যা রক্তের সঙ্গে বিক্রিয়া করে হয় শরীরে ভাল করে, নয় তো মন্দ। তাই তো কোন বিভাগের রক্তের কোন ধরনের খাবার খেলে উল্টো ফল মেলে, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলি খেয়ে থাকি তা থেকে কি আমাদের কোনও উপকার হয়? একাধিক গবেষণার পর এক ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সিংহভাগই রক্তের বিভাগ অনুসারে খাবার খান না। ফলে খাবার থেকে শরীরে প্রবেশ করা ল্যাকটিনের প্রায় ৯৫ শতাংশই কোনও কাজে না লেগে দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। এই কারণে নানাভাবে শরীরে ক্ষয় হতে শুরু করে।

এখন প্রশ্ন হল, কোনও বিভাগের রক্তের কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত, কোনটা নয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে। ব্লাড টাইপ ডায়েট চার্ট: নির্দিষ্ট ফারমুলায় ফেললে যে কোনও অঙ্কই যেমন মিলিয়ে দেওয়া যায়। তেমনি রক্তের ধরন অনুযায়ী খাবার খেলে আমাদের জেনেটিক প্যাটার্ন যে যে খাবারকে গ্রহন করতে সক্ষম, সেই সেই খাবার পায়। ফলে সার্বিকভাবেই শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের প্রকোপও হ্রাস পায়। রক্তের বিভাগ অনুসারে ডায়েট চার্ট:

১. “ও” বিভাগের রক্ত: এই বিভাগের রক্ত যাদের শরীরে বইছে তারা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার , যেমন-মাংস, মাছ, ডিম প্রভৃতি বেশি করে খাবেন। সেই সঙ্গে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে ফল এবং সবজু শাক-সবজি। আর খাওয়া চলবে না দানা শস্য, বিনস এবং শিম জাতীয় খাবার। এখানেই শেষ নয়, এই বিভাগের রক্তের অধিকারিরা যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে গম, কর্ন, বাঁধাকোপি, কর্নফ্লাওয়ার, মটরশুটি, ডাল, সরিষা বীজ প্রভৃতি খাবার ছোঁবেন না। খাবেন শুধু পালং সাক, মাংস, ব্রকলি প্রভৃতি খাবার।

২. “এ” বিভাগ: এমন রক্ত যাদের শরীরে বইছে তাদের মূলত শাক সবজি বেশি করে খেতে হবে। সেই সঙ্গে রোজের ডায়েটে থাকবে টোফু, সামদ্রিক খাবার, দানা শস্য, বিনস এবং প্রচুর পরিমাণ ফল। আর ওজন কমাতে চাইলে খাবেন না মাংস, দুগ্ধজাত খাবার এবং গম। কী কী খাবার এই বিভাগের রক্তের অধিকারিদের ওজন কমাতে সাহায্য করে? এক্ষেত্রে সোয়াবিন, সবজি এবং আনারস বেশি করে খেতে হবে।

৩. “বি” বিভাগের রক্ত: এরা সব ধরনের খাবার খেতে পারবেন। অর্থাৎ এদের প্রতিদিনের ডায়েটে যেমন মাছ-মাংস থাকবে, তেমনি থাকবে সবজিও। এক কথায়, এই বিভাগের রক্ত যাদের, তাদের বাস্তবিকই সর্বভুক বলা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, এরা প্রতিদিন অবশ্য়ই খাবেন পাঁটার মাংস, দুধ, দই বা যে কোনও ডেয়ারি প্রডাক্ট, দানা শস্য, বিনস, সবুজ শাক-সবজি এবং ফল। ওজন কমাতে চাইলে ভুলেও খাবেন না কর্ন, ডাল, চিনাবাদাম, তিল, নানা ধরনের বীজ এবং গম। পরিবর্তে খেতে হবে ডিম, যষ্টিমধু এবং চা। এই খাবারগুলি এই বিভাগের রক্তের অধিকারিদের ওজন কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।

৪. “এবি” বিভাগের রক্ত: এরা খাবেন মাংস, মাছ, সামদ্রিক খাবার, ডেয়ারি প্রডাক্ট, টোফু, বিনস, দানা শস্য, সবজি এবং ফল। ওজন কমাতে চাইলে ভুলেও খাবেন না পাঁঠার মাংস, নানা ধরনের বীজ এবং কর্ন। পরিবর্তে খেতে হবে টোফু, সামদ্রিক খাবার,ডেয়ারি প্রোডাক্ট, সবুজ শাক-সবজি এবং আনারস। এবার নিশ্চয় জেনে গেচেন আপনার রক্তের বিভাগ অনুসারে কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত। যদি এই ডায়েট চার্ট মেনে উপকার পান, তাহলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না যেন!

Related Posts

Leave a Reply