১৫ বছরে ৩৮০ বার চুরি অবশেষে ধরা পড়লো দেশপ্রেমিক এই বান্টি-বাবলি
কলকাতা টাইমস :
চোর হলে কি হবে শখে তারা বাদশাহ। বিলাসবহুল গাড়ি কেনা থেকে শুরু করে দামি হোটেল-রেস্তরাঁ-পর্যটনকেন্দ্রে আরামে-আয়েশে দিন কাটানোর কোনোটাই বাদ রাখেননি তারা। কিন্তু কিছুতেই ধরা যাচ্ছিলো না সাইবেরিয়ার এই বান্টি বাবলি জুটিকে। ১৫ বছর ধরে হন্যে হয়ে খুঁজছিলো পুলিশ। অবশেষে মাত্র দু’ফোঁটা রক্তই ধরিয়ে দিলো তাদের।শেষ রক্ষা পেলেন না। ধরা পড়লেন। কিন্তু চুরি করার ১৫ বছর পর। বান্টি-বাবলি জুটি অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। সার্বিয়ার এই দুই চোরকে ইন্টারপোলের সহায়তায় আটক করা সম্ভব হয়েছে।
ইন্টারপোল জানিয়েছে, ২০০৩ সালে ফ্রান্সের গয়না ও মূল্যবান সামগ্রীর একটি দোকানে চুরির সময় দু’ফোঁটা রক্ত পড়েছিল চোরদের একজনের। সেই রক্তের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার পর ‘পিঙ্ক প্যান্থার’ নামে অভিযান শুরু করে ইন্টারপোল। সারাবিশ্বের চিহ্নিত চোরদের রক্তের নমুনার সঙ্গে মেলানো শুরু হয়।
ইতোমধ্যে ওই দোকানের চুরি যাওয়া একটি দামি ঘড়ি এই চোরদ্বয়ের এক শিষ্যের হাতে পাওয়া যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সন্ধান মেলে সার্বিয়ান দুই চোরের। দু’জনকে আটকের পরই কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে পড়ে কেউটে।
জানা যায়, ১৯৯৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অন্তত তিনশ ৮০ জায়গায় চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে এই জুটি। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই মিলিয়ে মোট টাকার পরিমাণ তিন কোটিরও বেশি। যা শুনে কার্যত মাথা ঘুরে গেছে ইন্টারপোলের দুঁদে গোয়েন্দাদেরও।
ইন্টারপোল জানিয়েছে, বিপুল এই টাকার অধিকাংশটাই বিলাসবহুল জীবন যাপনে ব্যয় করতের এই চোরদ্বয়। একইসঙ্গে উঠতি দুষ্কৃতিদের চুরি-ছিনতাইয়ের পাঠ দেওয়ার কাজেও বিনিয়োগ করতেন তারা।
সম্প্রতি মাদক ব্যবসাতেও হাত পাকিয়েছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তারা। তবে একটা ব্যাপারে দু’জনেরই নীতি ছিল স্পষ্ট। এখন পর্যন্ত নিজের দেশ সার্বিয়ায় একবারও দুষ্কর্ম করেননি এই জুটি। সেটা ধরা পড়ার ভয়ে হোক বা মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা থেকেই হোক। চোরের ‘ধর্ম’ বলে যতই খোঁটা দেওয়া হোক, এক্ষেত্রে অন্তত চোরদ্বয় ‘দেশপ্রেমের ধর্ম’ পালন করেছেন।