ব্লাড সুগার কিংবা বিপি যন্ত্রের সমস্যা আপনার সর্বনাশ করছে, জানেন কিভাবে

কলকাতা টাইমস :
কিছু উপসর্গ সহকারে ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার প্রেসার মেপে কিছু ওষুধ ধরিয়ে দিলেন আপনাকে। জানেন কী, আপনি হয়ত অকারণেই খাচ্ছেন প্রেসারের ওষুধ! পা বাড়াচ্ছেন সর্বনাশের পথে।
কারণ জানা গেছে, তিনটি আলাদা আলাদা মেশিনে একই সময়ে একই অবস্থানে একই মানুষের প্রেসার মাপার পর রিডিংটা আলাদা! অবাক হচ্ছেন? হবেন না। এটাই বাস্তব। আসলে যন্ত্রেই গলদ। সুগার মাপার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। একই সময়ে আলাদা আলাদা মেশিনে ভিন্ন রিডিং।
আপনার প্রেসার বা সুগার স্বাভাবিক হলেও যন্ত্রের কল্যাণে রোগী হতে বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু গলদটা কোথায়? যন্ত্রের ক্যালিব্রেশনে গলদ। প্রেসার মাপার মাত্রাতেই গলদ। পারদের মাত্রায় গলদ। কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের দাবি, স্ফিগমোম্যানোমিটার যন্ত্রে ক্যালিব্রেশনে গন্ডগোল থাকলে প্রেসারের মাত্রা দশ পয়েন্ট কমবেশি হতেই পারে।
এখানেই বিপদ। রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে হতে পারে বড় সমস্যা। যিনি রোগী নন, তিনি হয়ে যান রোগী। আবার যিনি রোগী, ওষুধ না খেয়ে বেড়ে যায় তার রোগের মাত্রা। যন্ত্রের এই গলদের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন চিকিত্সকরা। চিকিত্সা ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে দিন দিন। আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারও বাড়ছে। কিন্তু আগে যন্ত্রের চিকিত্সা হলে তবেই শরীরের চিকিত্সা ঠিকঠাক হবে বলে মনে করছেন চিকিত্সকেরা।