November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

দেহঘড়ি মানলেই কমবে ক্রনিক রোগের ঝুঁকি

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মেলবোর্ন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির এক্সারসাইজ অ্যান্ড নিউট্রিশন রিসার্চ প্রগ্রামের ডিরেক্টর জন হাউলি বলেন, মিল টাইমিং তত্ত্বই হলো ক্রমোনিউট্রিশন। এটা মেনে চললে ঘুম ভালো হয়, এনার্জি লেভেল বাড়ে, মনমেজাজ ভালো থাকে, হজম ভালো হয় এবং ওজন কমে।

দেহ চলে নিয়ম মেনে

আমাদের দেহের ভেতর যে দেহঘড়ি আছে, তা আমাদের শারীরবৃত্তিক সব কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন—ঘুম, দেহতাপ ও মানসিক সজাগতা।

আমাদের দেহছন্দ নিয়ন্ত্রণ করে মগজের হাইপোথ্যালামাসের এক ধরনের অংশ সুপ্রাকায়াজম্যাটিক নিউক্লিয়াস বা এসসিএন। এর মাধ্যমে দেহের সব কাজের সঙ্গে ক্ষুধাও নিয়ন্ত্রিত হয়।

তাই দেহের দৈনন্দিন ছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে আহারের সময় নির্ধারণ করলে শরীরের কুশল রক্ষা হয়। দিনের যে সময় আমরা খাই তা প্রভাব ফেলে আমাদের মনমেজাজ, ব্লাড সুগারের মান আর এনার্জির মানের ওপর। দৈনিক দেহছন্দ প্রভাব ফেলে আমাদের দেহের বিপাকপ্রক্রিয়ার নানা অংশে; যেমন—খাবার কত দ্রুত হজম হবে এবং দেহ খাবারের পুষ্টি উপকরণ কত দ্রুত শুষে নেবে তা নির্ভর করে দৈনিক দেহছন্দ ঠিক রাখার ওপর।

দৈনন্দিন ছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে খাবার খেলে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমে।

সকাল ও রাতের আহারের মধ্যে ব্যবধান কমান

দুটি বেলার আহারের মধ্যে সময় কমান; যেমন—সকালের নাশতা ৭টায় করে থাকলে ডিনার করতে হবে রাত ৮টার মধ্যে। ক্রনিক রোগ যাদের আছে তাদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ সময় ধরে খাদ্য না খাওয়া দেহ ছন্দকে বিঘ্নিত করে।

রাতে দেরিতে খাবেন না

রাত করে খাবার খেলে ঘুম নষ্ট হয়। আর গোলমাল হয় দৈনন্দিন দেহছন্দে। কিছু খেলে তাৎক্ষণিকভাবে দেহে হরমোন নিঃসরণ হয়। এমন সময় যদি খান যখন আপনাকে এনার্জি বেশি খরচ করতে হচ্ছে না তখন ক্ষুধা বেড়ে যাবে। মেটাবলিজম হয়ে যাবে ওলটপালট। সন্ধ্যাবেলা রক্তের সুগার থাকে বেশি, সে সময় কাজ কম থাকে। রাতের খাবার সন্ধ্যায় খেলে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ হয় ভালো।

আমরা কখন খাই তা যেমন খেয়াল করতে হবে, তেমনি কী খেলাম সেটাকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

নিয়মিত ব্যবধানে জাংক ফুড খেলে শরীরে প্রবেশ করবে অতিরিক্ত সুগার, তেল, লবণ, স্যাচুরেটেড ফ্যাট আর ক্যালরি। দেহ গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন আর খনিজ থেকে বঞ্চিত হবে।

Related Posts

Leave a Reply