বলিউডের এই তারকারা কিপটের তালিকায় সবার ওপরে !
কিপটেমির অভ্যাস আছে অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার। তার কাছ থেকে ঠিক মতো বেতন না পেয়ে এবং তার খিটখিটে মেজাজের কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন তার এক সহকারী।
বোনের মতো কারিনার দিদি কারিশমাও বেশ কৃপণ। শোনা যায় এমনও, একবার সুনীল শেঠির স্ত্রী মানা শেঠি, চ্যারিটির জন্য ডিজাইনার পোশাকের এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। সেখানে অন্য তারকাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন কারিশমাও। সেখানে তিনি পছন্দমত কয়েকটি জিনিস ব্যাগে ভরে দিব্যি গুটিগুটি পায়ে বেরিয়ে আসছিলেন। তখন তাকে দামের কথা বলা হলে তিনি বিনা সংকোচে বলে দেন, তিনি পার্স সঙ্গে রাখেন না!
এই কিপটেমির তালিকায় কাপুর পরিবারের দুই বোন কারিশমা-কারিনার নামও রয়েছে। কারিনা যতই নবাব বেগম হোন না কেন, তিনি যে ‘কঞ্জুস’ সেকথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন এক টিভি শোয়ে হাজির হয়ে। বলেছিলেন, মালাইকা ও তার বোন অমৃতার সঙ্গে বের হলে কখনও টাকা নিয়ে বের হন না।
শ্রীদেবী আজ আর এ জগতে নেই। তবে বলিউডের চাঁদনিও বেশ কৃপণ ছিলেন বলেই শোনা যায়। একথা বহুদিন আগের। তখন তার দুই মেয়ে জাহ্নবী ও খুশি বেশ ছোট। শ্রীদেবী সেসময় খুশি-জাহ্নবীকে দেখভালের জন্য একজন আয়া রেখেছিলেন। আর সেই আয়াই একবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছিলেন তার মালিক তাকে ঠিক মতো বেতন দেন না! যদিও তার কথা কতটা সত্য তা জানা যায়নি।
কিপটেমির দৌড়ে বেশ এগিয়ে আছেন কমেডি কিং কপিল শর্মাও। তিনি মাঝে মধ্যেই স্টুডিওতে আসতেন অটোতে করে। কিন্তু অটো চালককে ভাড়া দিতেন না। এ নিয়ে অটো চালক কপিলকে কিছু বললে তিনি বলতেন ‘আমি কপিল শর্মা, চেনো না!’
পরিচালক করণ জোহারের প্রোডাকশন হাউস নিয়েও বহু কথা শোনা যায়। মাস গেলে বেতন পান না সেই প্রযোজনা সংস্থার অনেক কর্মীই।
খরচা না করার অভ্যাস এক সময় শিল্পা শেঠিরও ছিল বলে শোনা যায়। অবশ্য, সেটা তার বিয়ের আগের কথা। সে সময় তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন এক মেকআপ আর্টিস্টের কাছে মেকআপ করে। তবে তার জন্য সেই মেকআপ আর্টিস্টের পারিশ্রমিক চাওয়া মানা ছিল। শর্ত থাকত, শিল্পা যে ছবিতে অভিনয় করবেন, সেখানে তার কাজ করার সুযোগ করে দেবেন শিল্পা। তবে এখন আর শিল্পার এমন বদনাম নেই।
তবে বলিউডের সবাই অবশ্য এমন নন, এই বলিউডেই আবার সালমান খান, রণবীর সিং, রানি মুখোপাধ্যায়, দীপিকা পাড়ুকোন ও বরুণ ধাওয়ানের মতো দিলদরিয়া তারকারাও রয়েছেন।