জন্ম কি ১৯৭৯ কিংবা ১৯৯১, তবে পুড়লো কপাল !
চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ম্যাগাজিন ফনিক্স উইকলি তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, যারা ১৯৯১ ও ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন তারা জীবনে ভালোবাসা খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ, জ্যোতিশাস্ত্রে চাইনিজ জোডিয়াকের ‘ভেড়া’ রাশির জাতক-জাতিকাদের ঘিরে রেখেছে কলঙ্ক-কালিমা। এ ঘোর অমানিশার কারণেই তারা ভালোবাসাহীন জীবন কাটাচ্ছেন।
এ প্রতিবেদন তৈরির আগে তারা অনলাইনে সমীক্ষা চালায়। বেইজিংয়ে বসবাসরত অনেকজন অভিভাবকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। ছেলে-মেয়েদের জন্য সঠিক মানুষটি খুঁজে নিতে তারা কতটা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাও জানতে চাওয়া হয়।
সমীক্ষা নিয়ে গবেষণাকর্মটি সেরেছে তারা। সেখানে দেখা গেছে, ভেড়ার জাতক-জাতিকাদের গোটা জীবনে ভালোবাসার জুটি খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরাজ করছে দুর্ভাগ্য। প্রতিবেদন জানায়, ভেড়া চিহ্নিত বছরে যারা জন্ম নিয়েছেন, বিশেষ করে ১৯৭৯ এবং ১৯৯১ সালের ক্ষেত্রে, তাদের ভবিষ্যৎটা ভালো নয়। তাদের ঘরে কোনো সন্তানও দেখা যাচ্ছে না। যদিও অন্যান্য অবস্থা ঠিকঠাক বলেই মনে হচ্ছে।
বেইজিংয়ে অভিভাবকরা কোনো পার্কে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মিলিত হয়ে তাদের ছেলে-মেয়েদের জুটি খোঁজার বিষয়ে আলোচনা করেন। এটা বেশ জনপ্রিয় এক প্রথা। আবার আগে থেকেই না দেখে ছেলে-মেয়েদের মুখোমুখি করা হয়। সেখানে একে অপরের আর্থ-সামাজিক অবস্থার খবর নেন।
এ প্রতিবেদনের ফলাফলটা হাতেনাতেই পাচ্ছেন অনেকে। যেমন পেং শুনলির কথাই ধরা যাক। তার জন্য ১৯৯১ সালে দেখে পাত্র পক্ষের অভিভাবকরা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের স্পষ্ট কথা, যদি আপনার মেয়েটা ‘ভেড়া’ বছর জন্ম না নিতো, তাহলে তাকেই আমরা পুত্রবধূ হিসাবে গ্রহণ করে নিতাম।
তবে চীনের সোশাল মিডিয়া উইবো-তে এ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। বলা হচ্ছে, এসব বছরে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর প্রতি অবিচার করা হচ্ছে।
কিন্তু এ নিয়মের জন্য কতজন মানুষ একাকী থাকবেন তা কোনো বিষয় নয়। নিয়মটা মানতে হবে- এমনটাই মনে করছেন অভিভাবকরা, জানায় বিবিসি।
চীনের জ্যোতির্বিদ মাস্টার জর্জ ট্যাং জানান, জোডিয়াক ভেড়া বছরে যাদের জন্ম হয়েছে তারা পরিশীলিত, ধূর্ত, নান্দনিক, অনুভূতিশীল, আকর্ষণীয়, শান্ত এবং স্পর্শকাতর হয়ে থাকেন। আসলে চাইনিজ সংস্কৃতিতে জোডিয়াক বেশ প্রভাবশালী ভূমিকা রাখে।
চীনের লাখো-কোটি মানুষ তার ভাগ্য ও কর্মফল বুঝতে জোডিয়াক বছরচক্রে বিভিন্ন চিহ্নের ওপর নির্ভর করে।