রেস্তোরায়ঁ জন্মে সারাজীবন বিনাপয়সায় খাবার বরাত পেলো নবজাতক
কলকাতা টাইমসঃ
‘খাবারের ডেলিভারি তো সব রেটুরেন্ট ই করে কিন্তু আমরা সন্তানের ডেলিভারিও করি’ নিজেদের ফেসবুক স্টেসাসে এমনটা লিখে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফুড চেন চিক-ফিল-এ।
কিন্তু রেস্তোরাঁর ফেসবুক পেজে এ কী ধরনের স্ট্যাটাস, তা ভেবে পাচ্ছিলেন না অনেকেই। রেস্তোরাঁ থেকে কীভাবে শিশু বেলিভারি করা সম্ভব! জানা গেছে, সেই রেস্তোরাঁর ওয়াশরুমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক মহিলা। চলতি বছরের ১৭ জুলাই রাতে যখন চিক-ফিল-এর স্যান অন্টোনিওর একটি দোকানের কর্মীরা দোকান বন্ধ করতে যাচ্ছিলেন; তারা শুনতে পান, খুব জোরে জোরে বাথরুমের দরজায় আঘাত করছেন কেউ। তখনো তারা ভাবতেই পারেননি তাদেরই বাথরুমে জন্ম নেবে এক শিশু।
চিক-ফিল-এ ওই শিশুর জন্মের গল্পটি ফেসবুকে নবজাতকের বাবা রবার্ট গ্রিফিন শেয়ার করেছেন। বলাবাহুল্য পোস্ট হতে না হতেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ঘটনা। রবার্টের পোস্ট তিন লাখের বেশি মানুষ পছন্দ করেছেন। কীভাবে তিনি এবং তার স্ত্রী ম্যাগি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন, মাঝে চিক-ফিল-এ তাদের বড় মেয়েকে এক বন্ধুর সাথে নামিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের, সেসব কথা ফেসবুকে বিস্তারিত লিখেছেন রবার্ট।
রবার্ট জানান, আমার স্ত্রী ম্যাগির প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল। আমাকে সে জানায়, তাড়াতাড়ি বাথরুমে যেতেই হবে। বড় মেয়েকে রেস্টুরেন্টে নামানোর পর ম্যাগিকে বাথরুম থেকে নিয়ে আসতেই ভেতরে যাই। তিনি আরো বলেন, আমাকে হোটেলের ম্যানেজার জানান ম্যাগি রেস্টরুমে আছে, ব্যথায় চিৎকার করছে। আমরা দৌড়ে সেখানে যাই। দেখতে পাই, শিশুর জন্ম আসন্ন ।
রবার্ট লিখেছেন, যে ম্যানেজারকে ৯১১ এ ফোন করে পরিষ্কার তোয়ালে নিয়ে এসে বাচ্চাটির সুস্থ ডেলিভারির চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। বুঝতে পারেন নাড়িটি সদ্যোজাতের গলায় পেঁচিয়ে গেছে। কিন্তু স্ত্রীকে তা নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি। বরং তাকে শান্ত করতে থাকেন যাতে শিশুর জন্ম দিতে কোনো জটিলতা তৈরি না হয়। তারপর সাবধানে তিনি নাড়ির প্যাঁচ থেকে বের করে নিয়ে আসেন তাদের সদ্যোজাত সন্তানকে। সুস্থ ভাবেই পৃথিবীর আলো দেখে রবার্ট ও ম্যাগির দ্বিতীয় কন্যা সন্তান গ্রেসিলন মে ভায়োলেট গ্রিফিন।
জানা গেছে বাচ্ছাটির সারাজীবন তাদের রেস্টুরেন্টে বিনামূল্যে খেতে উপহার দিয়েছে চিক-ফিল।