ব্রাজিল বিশ্বকাপ মাতানো ফুটবল স্টেডিয়ামগুলো এখন গ্যারেজ !
কলকাতা টাইমসঃ
চলছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপের সময়ও এই ধরনের উন্মাদনাই দেখা গিয়েছিলো। বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ হওয়ার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে। ২০১৪ সালে দেশের বড়ো সংখক মানুষের বিক্ষোভ-প্রতিরোধ উপেক্ষা করে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করে ব্রাজিল। অবশ্য ব্রাজিলে ফুটবল আয়োজনের জন্য আগেই দেশটিতে ১২টি অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণের শর্ত জুড়ে দেয় ফিফা। শর্ত অনুযায়ী বাজেটের অন্য খাতের অর্থ ব্যয় করে ১২টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে ব্রাজিল সরকার। তার মধ্যে কেবল রাজধানীর মেনে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয় ৫০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে। স্টেডিয়ামটিতে ৭২ হাজার দর্শকের একসঙ্গে বসে খেলা দেখার ব্যবস্থা রাখা হয়। অথচ ব্রাজিলে কোনো খেলায় ১০ হাজারের বেশি দর্শক হয় না।
গত ২২ জুন সেই স্টেডিয়ামে মাত্র ছয় হাজার দর্শক উপস্থিত হয়েছিল। ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর স্টেডিয়ামটিতে রেকর্ড পরিমাণ দর্শক উপস্থিত হয়েছিল ওইদিন। যে কারণে ২০১৪ সালে মাত্র সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে স্টেডিয়ামটি অব্যবহৃত থেকেছে। অতিরিক্ত খরচ এড়াতে কোনো সংগঠনও স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করে না।
গত চার বছরে অন্তর্জাতিক কোনো খেলা সেখানে অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বিয়ের আয়োজন, কার পার্কিং এবং বেশিরভাগ সময় বেসরকারি বাস কোম্পানির কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে স্টেডিয়ামটি। বাস কোম্পানিগুলো গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার করে মেনে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামকে। সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ এভাবে ‘নষ্ট করা’ নিয়েও প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে।
মারাকানা স্টেডিয়ামে ৭৯ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেও ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আর কোনো বড় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। চারশ মিলিয়ন ডলারে সংস্কার করা ওই স্টেডিয়ামটিও প্রায় অব্যবহৃত এখন। এছাড়া জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচ যে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই মিনেইরাও স্টেডিয়ামে ৬২ হাজার দর্শকের খেলা দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। সেই স্টেডিয়ামটিতেও আর ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় না।