শুরু হলো ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথ হাঁস শুমারি !

কলকাতা টাইমসঃ
অনেকগুলো রাজহাঁসের মালিক ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথ। আর তিনি কতগুলো রাজহাঁসের মালিক তা গুনে দেখা ৮০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য। তাই দেশের বিভিন্ন লেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাঁসের গণনার বার্ষিক আয়োজন শুরু হয়েছে। ‘সোয়ান আপিং’ নামের এই আয়োজনন মূলত ওয়াইল্ডলাইফ সংরক্ষনের জন্য।
দেশজুড়ে মোট তিনটি দল অভিযানে নেমেছে। একটি দল রানির প্রতিনিধি। অপর দুটো দল কাজ করছে প্রাচীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ভিন্টনার্স অ্যান্ড ডায়ার্সের হয়ে। তারা ৫ দিন ধরে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের টেমস নদীর চষে বেড়িয়েছেন গণনাকারীরা। ঘুরে বেড়ানো রাজহাঁসগুলোকে ধরে ট্যাগ লাগানো হয়েছে। আবারো তাদের যার যার জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এর শুরু সেই ১২ শো শতকে। তখন ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম মুক্ত সব রাজহাঁসের মালিকানা দাবি করেন। সেই সময় থেকেই এই নিয়মটি চলে আসছে। তখন থেকেই আইনত ব্রিটিশরা রাজহাঁস এবং পাখি ধরে খেতে পারে না।
এখন টেমসের কাছে গেলে দেখা যাবে, গায়ে রাজকীয় লোগো খচিত লাল ব্লেজার জড়িয়ে হাঁসদের খুঁজছেন একদল লোক। স্বর্ণালি সুতায় এম্ব্রোডারি কারুকাজ তাদের ব্লেজারে। তাদের একজনের নাম ডেভিড বারবার। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী মুক্ত জলাশয়ে ঘুরে বেড়ানো যেকোনো রাজহাঁসের মালিক রানি। আর এদের খুঁজতে মূলত টেমস নদী চষে বেড়ানো হয়। তাদের গণনার এই পুরনো ঐতিহ্য আজকের দিনে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ এবং শিক্ষা অর্জনের সঙ্গে জড়িত। তাদের খুঁজে বের করার কাজটি চাক্ষুস করতে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আমন্ত্রিত থাকে। প্রতিটা হাঁসের পরিচয় নিশ্চিত করতে নম্বরখচিত আঙটি পরিয়ে দেওয়া হয়।