কলকাতা টাইমস :
পিরিয়ডের সময় শরীরের অন্দরে নানা পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সঙ্গী হয় স্টামাক ক্র্যাম্প এবং মারাত্মক যন্ত্রণাও। তাই তো এই সময় শরীরের বেশি করে খেয়াল রাখা উচিত। মাসের এই নির্দিষ্ট সময়ে সুস্থ থাকতে এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলিও মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। আর যদি এমনটা করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
১. সারা দিন একটাই প্যাড পরে থাকবেন না: পিরিয়ডের সময় কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে খেয়াল করে প্রতি ৩-৪ ঘন্টা অন্তর অন্তর প্যাডটা বদলে ফেলতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে অনেকেই এই সময় সারা দিন ধরে একটাই প্যাড পরে থাকেন, যেমনটা করা একেবারেই উচিত নয়।
২. অনিয়ন্ত্রিত হারে ডেয়ারি প্রডাক্ট খাওয়া চলবে না: আসলে পিরিয়ডের সময় দুধ, চিজ বা দইয়ের মতো ডেয়ারি প্রডাক্ট বেশি মাত্রায় খেলে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় শারীরিক কষ্ট মাত্রা ছাড়াতে সময় লাগে না। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দুগ্ধজাত খাবার অনেকটা কাটা ঘায়ে নুনের ছেটা দেয় মাত্র। তাই তো এই পাঁচদিন দুধ এবং তা থেকে বানানো খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৩. ভাজাভুজি খাওয়া চলবে না: এমনিতেই জাঙ্ক ফুড খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়। আর এই সময় এমন খাবার খেলে তো আরও বিপদ! প্রসঙ্গত, পিরিয়ডের সময় ফ্রায়েড খাবার খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
৪. শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হবে: এই সময় নিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক না করলে গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কিন্তু বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সংক্রমণেরও ভয় থাকে। তাই তো এই সময় এমনটা না করাই ভাল। নচেৎ মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি হতে পারে কিন্তু!
৫. বেশি মাত্রায় নুন খাওয়া চলবে না: একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে পিরিয়ডের সময় বেশি মাত্রায় নুন রয়েছে এমন খাবার, যেমন ধরুন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় পদ বেশি পরিমাণে খেলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে পিরিয়ডের সময়কার কষ্ট আরও বেড়ে যায়। তাই তো মাসের এই নির্দিষ্ট সময়ে যতটা সম্ভব কম পরিমাণে নুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৬. খালি পেটে থাকা চলবে না: পিরিয়ডের সময় খালি পেটে একেবারেই থাকবেন না। এই সময় যেহেতু মাত্রতিরিক্ত পরিমাণে এনার্জি লস হয়, তাই এই ঘাটতি পূরণের জন্য় ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করাটা একান্ত প্রয়োজন।
৭. কোল্ড ড্রিঙ্ক থেকে দূরে থাকতে হবে: এই নিয়মটা না মানলেও কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই পিরিয়ডের সময় বরফ জল এবং কোল্ড ড্রিঙ্ক একেবারে নৈব নৈব চ! প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই সময় এই ধরনের পানীয় খেলে ইউটেরাইন ওয়ালে রক্ত থেকে যায়। এমনটা হতে থাকলে ৫-১০ বছর পরে গিয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে যায়।
৮. বেশি মাত্রায় শরীরচর্চা করা চলবে না: এই সময় অল্প বিস্তর শরীরচর্চা চলতে পারে। কিন্তু ইনটেন্স ওয়ার্কআউট করা একেবারেই চলবে না। আর যদি পেটে এবং পিঠে ব্যথা থাকে, তাহলে তো একেবারেই শরীরচর্চা করা যাবে না। এই নিয়মটা না মানলে কিন্তু যন্ত্রণা বাড়বে।
৯. রাত জাগা তো নৈব নৈব চ! এমনিতেই এই সময় শরীর খুব দুর্বল হয়ে যায়। তার উপর রাত জাগলে শরীরের কাজ করার ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে আরও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ঘুন না হওয়ার কারণে ক্লান্তিভাব এতটাই বেড়ে যায় যে দৈনন্দিন কাজ কর্মেও বাঁধা আসতে শুরু করে। তাই পিরিয়ডের সময় রাত জাগা একেবারেই চলবে না।
১০. শসা খাওয়া যাবে না: পিরিয়ডের সময় শসা খেলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আসলে শসাতে উপস্থিত কিছু উপাদান এই সময় শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে, যে কারণে পরিস্থিত আরও খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।