November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হলেন এই বই বিক্রেতা

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে ছাপিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হলেন এক বই বিক্রেতা! তিনি হলেন- অনলাইনে কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। তার সম্পদের পরিমাণ এখন ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি ডলার। তার থেকে অনেকটা পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিল গেটস, যার সম্পদের পরিমাণ ৯৫ বিলিয়ন ডলার। খবর বিবিসির।

জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অ্যামাজন এক সময় ছিল অনলাইনে পুরনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আর এখন তা শিগগিরই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানি; অর্থাৎ তার মূল্য হবে এক লাখ কোটি ডলার।

অ্যামাজনে এখন শুধু বই নয়, প্রায় সব কিছুই বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে পোষা বেড়ালের খাবার থেকে শুরু করে দামি ক্যাভিয়ার পর্যন্ত সব কিছুই কেনা যায় অ্যামাজনে।

শুধু তাই নয়, অ্যামাজনের আছে স্ট্রিমিং টিভি, এমনকি নিজস্ব অ্যারোস্পেস কোম্পানি, যাতে শিগগিরই মহাশূন্য ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে।

মাত্র দুই দশক আগেও তিনি ছিলেন সাধারণ একজন উদ্যোক্তা। কিন্তু তিনি দেখতে পেয়েছিলেন এমন এক যুগ আসছে, যখন কম্পিউটারের এক ক্লিকে যে কোনো জিনিস কেনা যাবে, শপিংমলের জনপ্রিয়তা কমে যাবে, দোকানগুলো ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য নানা রকমের অফার দিতে বাধ্য হবে।

বেশ কয়েক বছর আগে তার হাইস্কুলের বান্ধবী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন- তার সব সময়ই মনে হতো জেফ বেজোস একদিন বিরাট ধনশালী হবেন।
জেফ বেজোসের জন্ম ১৯৬৪ সালে। তখনও তার বাবা-মায়ের বয়স ১৯ পেরোয়নি। খুব দ্রুতই তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পর তিনি বড় হন তার মা জ্যাকি আর সৎ বাবা মাইক বেজোসের ঘরে।

মাইক বেজোস তখন চাকরি করতেন এক্সন কোম্পানিতে। তার দেশ কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রো ক্ষমতায় আসার পর তিনি পালিয়ে চলে আসেন আমেরিকায়।

ছোটবেলা থেকেই জেফের আগ্রহ ছিল বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দিকে। তিন বছর বয়সেই তিনি স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে তার খেলনা খুলে ফেলতে শিখেছিলেন।

জেফ বেজোস যখন হাইস্কুলে পড়েন, তখন তার গ্র্যাজুয়েশন বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন- তিনি এমন এক অনাগত সময়কে দেখতে পাচ্ছেন, যখন মানুষ মহাশূন্যে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করবে।
বেজোসের বয়স যখন ৩০, তখন একটি পরিসংখ্যান চোখে পড়ে তার; যাতে বলা হয়েছিল- ইন্টারনেটের দ্রুত বৃদ্ধির কথা। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- চাকরি নয়, নিজেই কিছু একটা করবেন। বেজোস চলে গেলেন আমেরিকার পশ্চিম প্রান্তের শহর সিয়াটলে। তার নিজের জমানো কিছু টাকা আর পরিবারের কিছু সাহায্য মিলিয়ে এক লাখ ডলারের মতো অর্থ দিয়ে শুরু হয় অ্যামাজন নিয়ে তার স্বপ্নযাত্রা।

Related Posts

Leave a Reply