করোনাজয়ীরাই তুলবে ফোন, দ্রুত পৌঁছে বাইকে তুলে সোজা হাসপাতালে

কলকাতা টাইমস :
করোনাজয়ীদের নিয়ে কলসেন্টার চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। এই কল সেন্টারের যাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে তাদের সবাই করোনাজয়ী। কলকাতা মহানগরের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমন সন্দেহ হলেই সরাসরি ফোন করতে পারবেন কলকাতা পৌরসভার নিজস্ব এই কলসেন্টারে।
সেই ফোন তুলবেন বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত একজন করোনাজয়ী কেভিড যোদ্ধা। ঠিকানা জেনে মোটরবাইক নিয়ে দ্রুত পৌঁছে যাবেন অসুস্থের বাড়িতে। রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন, ফোনে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে ওষুধও দেবেন। যদি হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় তারও চটজলদি ব্যবস্থা করবেন ওই করোনাজয়ী যোদ্ধারা। অ্যাম্বুলেন্স তক্ষুণি না পাওয়া গেলে কেভিড যোদ্ধার সঙ্গের বাইকই অ্যাম্বুলেন্সের কাজ করবে, পৌঁছে দেবে হাসপাতালে।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকার চা বাগানের শ্রমিক করিমুল মোটরবাইককে অ্যাম্বুলেন্স করে বাড়ি থেকে হাসপাতালে পৌঁছান রোগীদের। সঙ্গে থাকা ওষুধ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাও করেন। অভিনব এই সেবার জন্য তাকে রাষ্ট্রপতি পদ্মশ্রী সম্মান দিয়েছেন।
এবার কলকাতা পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উদ্যোগে করিমুলের মতই মোটরবাইক নিয়ে করোনা আক্রান্তের বাড়ি পৌঁছে সেবা দেবেন করোনাজয়ীরা। তিন শিফটে ভাগ করে ২৪ ঘণ্টাই পৌরসভার প্রতিটি অফিসের কল সেন্টারে ডিউটি করবেন করোনাজয়ীরা।
রবিবার পৌরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশাসক ও প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ‘পৌরসভার ১৬টি অফিসেই চালু হচ্ছে এই কলসেন্টার। দায়িত্বে থাকবেন করোনাজয়ীরা। ফোন পেলেই মোটরবাইক নিয়ে পৌঁছে যাবেন রোগীর বাড়িতে। প্রাথমিক চিকিৎসা, অন-কলের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ওষুধ দেওয়া, ভর্তির ব্যবস্থা সবটাই করবেন তারা।’
করোনা রোগীর ভর্তি ও দ্রুত চিকিৎসা নিয়ে কলকাতায় যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে তা ১৬টি কলসেন্টার চালুর মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলতে পৌরমন্ত্রীর এমন পরিকল্পনা। যেহেতু ওই কভিড যোদ্ধারা সুস্থ হয়ে ফিরেছেন, তাই তাদের শরীরে মারণ ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে আছে। বস্তুত এই কারণেই করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগীর কাছে গেলে তাদের কোনো ঝুঁকি থাকবে না। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীরা বাইক নিয়ে গেলে ওই সন্দেহভাজন রোগীর থেকে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই এমন পরিষেবায় করোনাজয়ীদের নিয়োগ করছে পৌরসভা।