ডায়াবেটিকরা তরমুজে খেলে কী হতে পারে জানেন?

কলকাতা টাইমস :
রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ডায়াবেটিকদের শারীরিক অবনতি হতে শুরু করে। তাই তো মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে মানা করা হয় এমন রোগীদের। আচ্ছা তরমুজও তো মিষ্টি। তাহলে এই ফলটি খেতে ডায়াবেটিকদের বারণ করা হয় না কেন? এই উত্তর নিশ্চয় পাবেন। তাবে তার আগে ডায়াবেটিস কী, সে বিষয়ে একটু নজর রাখা যাক। আমারা যখনই খাবার খাই। তখনই ইনসুলিনের ক্ষরণ হয়। কারণ খাবারকে এনার্জিতে রূপান্তরিত করতে এই উপাদানটির প্রয়োজন পরে। কিন্তু নানা কারণে যখন ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করতে পারে না বা ইনসুলিন রেজিস্টেন্স তৈরি হয়, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই আবস্থাকেই চিকিৎসা পরিভাষায় ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, ডায়াবেটিস রোগ একেবারেই ভাল নয়। কারণ শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে একাধিক জোটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমনকী ডায়াবেটিকদের অঙ্গহানির সম্ভবনাও থাকে।
১. এক কাপ তরমুজ খেলে শরীরে প্রায় ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট প্রবেশ করে। এই পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট একজন ডায়াবেটিস রোগীর পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাই ভুলেও যদি তরমুজ খেয়ে ফেলেন, তাহলে পরের মিলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাবেন না। প্রসঙ্গত, ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিকদের প্রতিটি মিলে ৪০-৬০ গ্রাম কার্বোহাইডের্টের বেশি থাকা একেবারেই চলবে না।